হাতের ছবি দিয়ে এক আপু পোস্ট করেছেন ক্যাপশন্টা এই রকম :
“বিয়ের পর এই প্রথম একা একা লতি কুটলাম আর নখগুলো কেমন নষ্ট হয়ে গেছে।বাসায় ননদ আছে কিন্তু সে তার রুমে শুয়ে আছে একটুও সাহায্য করেনি! বিয়ের আগে কখনো লতি কুটিনাই আমি। আম্মুই সব করতো। এখনো বাবার বাড়ি গেলে আমাকে কিচ্ছু করতে দেয় না আম্মু।”
অতঃপর সেখানে কমেন্টের নমুনাগুলা ছিলো এমন:
1⃣ আপু এরা এমনই। আপনার কষ্ট কখনো বুঝবেনা। আর সাহায্যের আশা করে তো কোনো লাভই নাই।
2⃣ আমার ননদও এমন আপু। একটু কাজও করে না। শ্বাশুরীও কিছু বলেনা মেয়েকে।
3⃣ আমার ননদ অনেক ভালো। আমাকে অনেক হেল্প করে।
4⃣ হাজবেন্ড কে নিয়ে আলাদা হয়ে যান আপু আর হেল্পিং হ্যান্ড রাখুন। এদের জন্য করে কোনো লাভ নেই আপু। কষ্ট করে করবেন কিন্তু কোনো দাম পাবেন না।
ব্লা ব্লা ব্লা….
একটি কমেন্ট ছিলো ভিন্ন রকম:
*আপু আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন এইটা আপনার ননদের বাবার বাড়ি। আপনি যেমন বাবার বাড়িতে কোনো কাজ করেননি/এখনো গেলে করেননা সেও তার বাবার বাড়িতে কাজ করেনা। এইটাই স্বাভাবিক আপু।
এইটা আসলে ননদের দোষ না আপু। এইটা আমাদের সমাজের নিয়ম।
আপনার আম্মু যখন সব কাজ একাই করে তখন আপনার কাছে সেটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার লেগেছে। তার কষ্ট হচ্ছে ভেবে হাতে হাতে কাজ এগিয়ে দিয়ে সাহায্য করার কথা আপনার মাথায় আসেনি। হয়তো ভেবেছেন আম্মু কত কষ্ট করে আমাদের জন্য কিন্তু সেই হিসেবে তাকে কতটা সাহায্য করেছেন?
কিন্তু যখন নিজে কাজ করতে গিয়েছেন তখন ননদের সাহায্য না করার ব্যাপারটা আপনার মাথা বেশ ভালো করে খেয়াল করেছে। আপনার সাহায্য দরকার। একা একা কাজ করাটা কষ্টের। একজন একা সব করবে আর একজন রুমে শুয়ে আছে ব্যাপারটা আপনার মস্তিষ্ক মেনে নিতে পারছেনা।
কিন্তু সেই মস্তিষ্ক আবার আপনার বাবার বাড়ি গেলে সব ইজিলি মেনে নেয়। বাবার বাড়িতে পা রাখতেই খুশিতে আন্দোলিত হয়ে ওঠে। উফফফ কদিন সব কাজ মা করবে আর আমি রেস্ট নিতে পারবো।
আহা কি শান্তির জায়গা!
Nothing to say! As you sow, so you reap.
✍️ Ayesha Siddiqa