প্রশ্ন : সিয়ামের শাব্দিক অর্থ কি?
উত্তর : সিয়ামের শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা। ফার্সী ভাষায় এটাকে রোযা বলা হয়।
প্রশ্ন : রামাদ্বান মাসের সিয়ামের হুকুম কি?
উত্তর : রামাদ্বানের রোজা ফরজ।
প্রশ্নঃ কত হিজরীতে সিয়াম বা রোজা ফরয হয়?
উত্তরঃ ২য় হিজরীতে।
প্রশ্নঃ সিয়াম ফরয হওয়ার কথা কুরআন শরীফের কোন সূরার কত নং আয়াতে উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা ১৮৩ নং আয়াত।
প্রশ্নঃ সিয়াম ইসলামের কত নম্বর স্তম্ভ?
উত্তরঃ চতুর্থ।
প্রশ্নঃ কোন আমলের বিনিময়ে মানুষকে রাইয়্যান নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে?
উত্তরঃ সিয়াম।
প্রশ্নঃ রোযদারকে একটি বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। দরজাটির নাম কি?
উত্তরঃ রাইয়্যান।
প্রশ্নঃ বছরের কোন মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বান মাসে।
প্রশ্নঃ বছরের কোন মাসে জান্নাতের দরজা খোলা রাখা হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বান মাসে।
প্রশ্নঃ ফরয সিয়ামের জন্য কখন নিয়ত করতে হয়?
উত্তরঃ ফজরের পূর্বে।
প্রশ্নঃ সিয়াম পালকারীর কখন সাহুর (সেহরি) খাওয়া মুস্তাহাব?
উত্তরঃ শেষ রাতে।
প্রশ্নঃ কোন বস্তু দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত।
উত্তরঃ টাটকা খেজুর না পেলে যে কোন খেজুর, তা না পেলে পানি দ্বারা।
প্রশ্নঃ রোযাদারের মেসওয়াক করার হুকুম কী?
উত্তরঃ সুন্নাত।
প্রশ্নঃ সফর যদি আরাম দায়ক হয়- কষ্ট না হয়, তবে রোযা ভঙ্গের হুকুম কি?
উত্তরঃ রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। তবে রাখা উত্তম।
প্রশ্নঃ নারীদের কোন্ অবস্থায় রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ ঋতু বা নেফাস হলে?
প্রশ্নঃ বছরের কোন কোন দিন রোযা রাখা হারাম?
উত্তরঃ দুঈদের দিন এবং আইয়্যামে তাশরীক (জিলহজ্জ মাসের ১১, ১২, ১৩ তারিখ)
প্রশ্নঃ কোন কাজ করলে রোযা ভঙ্গ হয় এবং কাফ্ফারা স্বরূপ দুমাস রোযা রাখতে হয় অথবা ৬০ মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করতে হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বান রোযা রেখে স্ত্রী সহবাস করলে।
প্রশ্নঃ কোন অবস্থায় রামাদ্বানের দিনে পানাহার করলেও রোযা ভঙ্গ হবে না?
উত্তরঃ ভুলক্রমে পানাহার করলে।
প্রশ্নঃ মাহে রামাদ্বানের পর সর্বোত্তম নফল সিয়াম কোনটি?
উত্তরঃ আশুরার রোযা।
প্রশ্নঃ আশুরার রোযা রাখার ফযীলত কি?
উত্তরঃ এর মাধ্যমে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়।
প্রশ্নঃ আশুরার রোযা কমপক্ষে কয়টি রাখা সুন্নাত?
উত্তরঃ ২টি, মুহাররমের ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ।
প্রশ্নঃ কোন নবী সারা বছর একদিন রোযা রাখতেন একদিন ছাড়তেন?
উত্তরঃ দাউদ (আঃ)।
প্রশ্নঃ কোন রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ শাওয়াল মাসের ৬টি রোযা।
প্রশ্নঃ কোন্ রোযার বিনিময়ে বিগত এবং আগত দুবছরের গুনাহ মাফ হয়?
উত্তরঃ আরাফাত দিবসের রোযা।
প্রশ্নঃ আইয়্যামে বিযের রোযা কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩,১৪, ১৫ তারিখের রোযাকে।
প্রশ্নঃ সপ্তাহের কোন কোন দিন রোযা রাখা সুন্নাত?
উত্তরঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার।
প্রশ্নঃ যে লোক নামায পড়ে না তার রোযার বিধান কী?
উত্তরঃ বাতিল, কেননা নামায ছাড়া রোযা জায়েয নয়।
প্রশ্নঃ লায়লাতুল কাদর কখন হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বানের শেষ দশকের যে কোন বেজোড় রাতে।
প্রশ্নঃ লায়লাতুল কাদরের ফযীলত কি?
উত্তরঃ এক রাতের ইবাদত এক হাজার মাস ইবাদতের চাইতে উত্তম।
প্রশ্নঃ তারাবীর নামায আদায় করার হুকুম কি?
উত্তরঃ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ
প্রশ্নঃ নবী সাল্লাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতদিন তারাবীর নামায আদায় করেছিলেন?
উত্তরঃ তিন দিন।
প্রশ্নঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন দিন তারাবীর নামায আদায় করার পর, আর কেন জামাতে আদায় করেন নি?
উত্তরঃ ফরয হয়ে যাওয়ার ভয়ে।
প্রশ্নঃ কখন থেকে পুনরায় তারাবীর নামায জামাতের সাথে পড়া চালু হয়?
উত্তরঃ হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফত কালে।
প্রশ্নঃ তারাবীর নামায কয় রাকাত আদায় করা সুন্নাত?
উত্তরঃ বিতরসহ ২৩ রাকাত।
প্রশ্নঃ তারাবীর নামায বিশ রাকাত এর কম আদায় করার হুকুম কি?
উত্তরঃ জায়েয, তবে বিশ রাকাতই উত্তম।
প্রশ্নঃ কাদের উপর রামাদ্বানের সিয়াম পালন করা ফরজ?
উত্তরঃ (১) প্রাপ্ত বয়স্ক, (২) সুস্থ বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন, (৩) মুকীম ও সমর্থবান এমন সব গুণ সম্পন্ন প্রত্যেক মুসিলম নর-নারীর উপর রামাদ্বানের সিয়াম পালন করা ফরজ।
প্রশ্নঃ কী অবস্থায় কাদের উপর রামাদ্বানের সিয়াম ফরজ নয়?
উত্তরঃ দশ প্রকার মানুষের উপর রামাদ্বানের সিয়াম পালন করা ফরজ নয়, তারা হলেন,,, [১] অমুসলিম [২] অপ্রাপ্ত বয়স্ক/ অর্থাৎ নাবালেগ [৩] পাগল [৪] এমন বৃদ্ধলোক যে ভালমন্দ পার্থক্য করতে পারে না [৫] এমন বৃদ্ধ ব্যক্তি যে রোযা রাখতে সমর্থ নয়। বা এমন রোগী যার রোগমুক্তির সম্ভাবনা নেই। এমন ব্যক্তিদের উপর ফিদইয়া দেয়া ওয়াজিব। [৬] মুসাফির [৭] রোগাক্রান্ত ব্যক্তি [৮] ঋতুবতী মহিলা [৯] গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী [১০] দুর্ঘটনায় পতিত বা বিপদগ্রস্ত লোককে রক্ষাকারী ব্যক্তি।
Related Images:
