১. শিরক করা ৷
২. মানুষ হত্যা করা ৷
৩. জাদুটোনা করা ৷
৪. নামাজে অবহেলা করা ৷
৫. যাকাত না দেয়া ৷
৬. বিনা ওজরে রমজানের রোযা ভঙ্গ করা৷
৭. সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্ব না করা ৷
৮. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ৷
৯. রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্ন করা ৷
১০. যিনা-ব্যভিচার করা ৷
১১. লাওয়াতাত বা সমকামিতা করা ৷
১২. সুদের আদান-প্রদান ৷
১৩. ইয়াতিমের মাল আত্মসাৎ করা এবং তাদের ওপর জুলুম করা৷
১৪. আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করা৷
১৫. ধর্মযুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন৷
১৬. শাসক কর্তৃক জনগণের ওপর জুলুম৷
১৭. গর্ব-অহংকার৷
১৮. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া৷
১৯. মদ্যপান৷
২০. জুয়া খেলা৷
২১. সতী-সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া৷
২২. গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা৷
২৩. চুরি করা৷
২৪. ডাকাতি করা৷
২৫. মিথ্যা শপথ করা ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা৷
২৬. জুলুম বা অত্যাচার করা৷
২৭. জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করা৷
২৮. হারাম খাওয়া ও যেকোন হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন ও ভোগদখল করা৷
২৯. আত্মহত্যা করা৷
৩০. কথায় কথায় মিথ্যা বলা৷
৩১. বিচারকার্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া৷
৩২. ঘুষ খাওয়া৷
৩৩. পোশাক-পরিচ্ছদে নারী-পুরুষের সাদৃশ্যপূর্ণ বেশভূষা৷
৩৪. নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রশ্রয়দান৷
৩৫. তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে চুক্তিভিত্তিক হিলা বিয়ে করা৷
৩৬. প্রস্রাব থেকে পবিত্র না থাকা৷
৩৭. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ কাজ করা৷
৩৮. দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা এবং সত্য গোপন করা৷
৩৯. আমানতের খেয়ানত বা বিশ্বাস ঘাতকতা৷
৪০. দান-খয়রাতের খোটা দেয়া৷
৪১. তকদিরকে অবিশ্বাস করা৷
৪২. কান পেতে অন্য লোকের গোপন কথা শোনা৷
৪৩. চোগলখুরি করা৷
৪৪. বিনা অপরাধে কোন মুসলমানকে অভিশাপ ও গালি দেয়া৷
৪৫. ওয়াদা খেলাফ করা৷
৪৬. গণকের কথায় বিশ্বাস করা৷
৪৭. স্বামীর অবাধ্য হওয়া৷
৪৮. প্রাণীর প্রতিকৃতি আঁকা৷
৪৯. বিপদে উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা৷
৫০. বিদ্রোহ, দম্ভ ও অহংকার প্রকাশ৷
৫১. দাস-দাসী দুর্বল শ্রেণীর মানুষ এবং জীবজন্তুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা৷
৫২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া৷
৫৩. মুসলমানদের কষ্ট ও গালি দেয়া৷
৫৪. আল্লাহর বান্দাদের কষ্ট দেয়া৷
৫৫. অহংকার ও গৌরব প্রকাশে টাখনুর নিচে পোশাক পরা৷
৫৬. পুরুষের স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় পরিধান করা৷
৫৭. মনিবের কাছ থেকে গোলামের পলায়ন বা বৈধ কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করা৷
৫৮. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু- পাখি যবেহ করা৷
৫৯. যে পিতা নয়, তাকে জেনে-
শুনে পিতা বলে পরিচয় দেয়া৷
৬০. ঝগড়া ও বাদানুবাদ করা৷
৬১. প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অন্যকে না দেয়া৷
৬২. মাপে এবং ওজনে কম দেয়া৷
৬৩. আল্লাহর আজাব ও গজব সম্পর্কে উদাসীন হওয়া৷
৬৪. আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া৷
৬৫. বিনা ওজরে জামায়াত ত্যাগ করা এবং একাকী নামাজ পড়া৷
৬৬. ওজর ছাড়া জুমআ এবং জামায়াত ত্যাগ করার ওপর অটল থাকা৷
৬৭. উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরীয়ত বিরোধী ওসিয়ত করা৷
৬৮. ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরি, প্রতারণা করে মানুষ ঠকান৷
৬৯. মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দাগিরি করা এবং তাদের গোপনীয় বিষয় অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া৷
৭০. রাসূলের সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া৷
ভদ্র ছেলের গুণাবলি – ছেলে চেনার উপায়
মেয়েরা বর বা প্রেমিক নির্বাচনে বরাবরই ভুল করে। যার দরুন তারা সংসারে অশান্তি এবং রিলেশনে কষ্ট ভোগ করে থাকে । আগেই বলেছি অতিরিক্ত স্মার্টনেস ছেলেদের ভদ্রতার বঃহি প্রকাশ না । যদি সংসারে সুখী হতে চান তবে ভদ্র ছেলে দেখে বিয়ে করুন স্মার্ট দেখে নয়।
১] আপনি ভাবছেন খুব বেশী স্মার্ট হলে ছেলেটি ভদ্র? অবশ্যই না। স্মার্টনেস ছেলেটির ভদ্রতা প্রকাশ করে না। মাথায় জেল দিয়ে হাতে বেসলেট পড়ে তারা অতিরিক্ত ভাব নেয় না। ভদ্র ছেলেরা সাধারণত স্বাভাবিক থাকতে পছন্দ করে । অতিরিক্ত বাহুল্যতা এরা মোটেও পছন্দ করে না।
২] এরা কথাবার্তায় মার্জিত। উঁচু বাক্যে বা রাগান্বিত হয়ে কারো সাথে কথা বলবে না তবে একবার কোন কারণে রেগে গেলা সেটা তাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ কষ্ট হয়ে পড়ে।
৩] ভদ্র ছেলেরা খোদা ভীরু হয় । দুনিয়ার সম্পদে তাদের আসক্তি কম । অন্য জনের সম্পদ তাদের কষ্টের কারণ হয় না এবং তাদের চাহিদা খুব সিমিত ।
৪] ভদ্র ছেলেরা সাধারণত সিগারেট খায় না আর যদিও খায় তবে যত সামান্য, সেটাকে কখনোই তারা নেশা হিসাবে নেয় না । আর নেশা জাতীয় দ্রব্য এরা ছুঁয়েও দেখবে না ।
৫] লোভ হিংসা গিবত থেকে এরা মুক্ত । একজনের গোপন কথা এরা পেটে বোমা মারলেও প্রকাশ করবে না । এরা অবশ্যই বিশ্বাসী ।
৬] সাহিত্য বা আর্ট এর প্রতি এদের ঝোঁক থাকে । বই পড়া বা আঁকি ঝুকি করা এদের প্রিয় সখ গুলোর একটি । অনেক সময় কবিতা লিখে বা আত্ম কথা ডাইরিতে লিখে রাখতে ভালোবাসে ।
৭ ] ভদ্র ছেলেরা সাধারণত নিজেকে বড় মনে করে না এবং ক্ষমাশীল হয় । শত অন্যায় করার পরেও এরা মানুষ কে ক্ষমা করে দেয় কিন্তু মানুষ তাদের সাথে বরাবর বিশ্বাস ঘাতকতা করে
৮] ভদ্র ছেলেরা অতিরিক্ত আড্ডা, রাত করে বাসার ফেরা এরা মোটেও পছন্দ করে না । অনেকটা আত্মকেদ্রিক , ঘর কুনো এবং মা ভক্ত হয় ।
৯] চলাফেরা স্বাভাবিক । হেলে দুলে হাত নাচিয়ে তারা হাটবে না । সুন্দরী মেয়ে দেখলেও এরা নেশাতুর ভাবে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকবে না । মেয়েদের প্রতি সম্মান এদের আলাদা ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে এবং অশ্লীলতা থেকে তারা সবসময় দূরে থাকে ।
১০] ফেসবুক টুইটারে এরা সেলফি আসক্ত নয় । আত্মকেন্দ্রিক হওয়ায় এদের বাস্তবে এবং ভার্চুয়ালে বন্ধুর সংখ্যা সিমিত । এরা আর যাই করুক কখনোই মেসেজ মেয়েদের সাথে লতুপুতু করবে না ।
১১] মেয়েদের সাথে কথা বলতে এরা ভয় পায় । যেচে এরা মায়েদের কখনোই কথা বলে না । তবে একবার মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেলে সেই বন্ধুত্ব ধরে রাখার চেষ্টা করে ।
১২] ভালোবাসার ক্ষেত্রে সেই একই কথা প্রযোজ্য । এরা প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাসী এবং মূল্যবোধ সম্পূর্ণ । তবে এরা ফিউচার নিয়ে ভাবে, ভালোবাসার ক্ষেত্রে তারা তেমন আগ্রহী না কিন্তু কখনো যদি ভালোবেসে কষ্ট পায় সেই কষ্ট তারা সারাজীবন একা একা বয়ে বেড়াবে ।
Related Images:

রাত কেন্দ্রিক ২৮টি কুসংস্কার
কেবল রাত কেন্দ্রিক ২৮টি কুসংস্কার হল:
১. রাতে বাঁশ কাটা যাবে না
২. রাতে গাছের পাতা ছেঁড়া যাবে না
৩. রাতে কোনও প্রকার ফল-ফসল তোলা যাবে না
৪. রাতে নখ, চুল, গোফ ইত্যাদি কাটা যাবে না এতে শরীর রোগ সৃষ্টি হয়।
৫. রাতে কাউকে কোন কিছু ঋণ দেয়া যাবে না। এতে সংসারে দরিদ্রতা নেমে আসে।
৬. রাতে কাউকে আগুন দেয়া যাবে না। এতে ঘরের লক্ষ্মী চলে যায়!
৭. রাতে কাউকে চুন দিতে হলে তখন চুনকে চুন না বলে ‘দই’ বলতে হয়।
৮. রাতে কোনও কিছুর লেনদেন করা অমঙ্গল ডেকে আনে।
৯. রাতে আয়না দেখতে নেই। এতে কঠিন পীড়া হয়।
১০. ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেললে সংসারে অমঙ্গল হয়।
১১. রাতে কাউকে সুই-সুতা দিতে নেই।
১২. রাতের দোকানে সুই বেচা বা কেনা অমঙ্গলের কারণ।
১৩. রাতে কোনও কিছুর লেনদেন করা ভালো নয়।
১৪. অমাবস্যা ও পূর্ণিমার রাতে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করতে করতে নাই। এতে না কি স্ত্রী গর্ভবতী হলে গর্ভস্থ সন্তানের উপর তার কুপ্রভাব পড়ে।
১৫. রাতের বেলা কালোজিরার ভর্তা খেলে মায়ের জানাজা পায় না।
১৬. সূর্য ডোবার সাথে সাথে ঘরে সান্ধ্য বাতি না জ্বালালে ঘরে হলে বিপদ নেমে আসে।
১৭. রাতে কাক ডাকলে বিপদ আসে।
১৮. রাতে কুকুর কাঁদা বালা-মসিবতের পূর্বাভাস।
১৯. রাতে প্যাঁচার ডাক বিপদ সংকেত।
২০. গভীর রাতে পেঁচার ডাক ঝগড়া-বিবাদের সংকেত।
২১. শেষ রাতে শিয়ালের ডাক ফসলের ভাল মূল্য পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
২২. গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে রাতে সেলাই করা অমঙ্গলজনক।
২৩. রাতের বেলা বা সন্ধ্যায় ঝাড়ু দিলে আয়-উন্নতি হয় না।
২৪. রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। এতে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
২৫. রাতে পান খাবার ‘খর’ বিক্রি করতে নেই। এমন কি নামও বলা যাবে না।
২৬. রাতের বেলা মাথায় কাপড় না দিয়ে বাইরে গেলে জিন-ভূত আক্রমণ করে বা অমঙ্গল হয়।
২৭. ঈদের রাতে বা শবে বরাত বা শবে কদরে মৃত আপন জনের আত্মা ঘরে ঘরে দেখা করতে আসে।
২৮. রাতের বেলা রসুন কে রসুন না বলে ধলা (সাদা) গুটা বলতে হয়।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
সংকলন ও গ্রন্থনায়:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Abdullahil Hadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদি আরব
Related Images:
প্রিয় নবী সা. এর চুল যেমন ছিল!
?️
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আরব পুরুষদের রীতি ছিল লম্বা চুল রাখা। রাসুল নিজেও লম্বা চুল রাখতেন। তার চুল কখনো কানের মাঝামাঝি, কানের লতি কিংবা দুই কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকতো। তার চুল কাঁধ ছাড়িয়ে আরো লম্বা হত বলে জানা যায়। [১]
?️
কখনো এতদূর অবধি লম্বা হত যে তা বিনুনি/গুচ্ছ করে রাখতেন। তার চাচাতো বোন উম্মে হানী রা. বলেন, “(মক্কা বিজয়ের সময়) রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন তার চুলে চারটি গুচ্ছ বা বিনুনি ছিল” [২]
?️
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, “তার চুল যখন লম্বা হতো তখন তিনি তা চারটি গুচ্ছে বিভক্ত রাখতেন” [৩]
*আরবীতে চুল জড়িয়ে বা বিনুনি করাকে “গাদীরাহ” বলে। হাদীসে “আরবায়ু গাদায়ের” চারটি গুচ্ছ ভাষাটি ব্যাবহার হয়েছে।
?️
ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, “অধিকাংশ সময়ে তার চুল এরূপ কাঁধের কাছাকাছি থাকত। কখনো তা আরো লম্বা হতো এবং ঝুলন্ত গুচ্ছে পরিনত হতো। তিনি সেগুলোকে বিনুনি বানিয়ে রাখতেন” তবে কাঁধ অবধি থাকা তার স্বাভাবিকতা ছিল।[৪]
?️
হজ্জ বা উমরা ব্যতীত তিনি কখনো মাথার চুল মুন্ডন করেছেন বলে জানা যায় না।[৫]
সেজন্যই এ নিয়ে মতভেদ আছে মুন্ডন করা যাবে কি যাবে না। কোনো কোনো ফকীহ হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন কে মাকরুহ বলেছেন। দু কারনে তাদের মতের পক্ষে এ প্রমান পেশ করেন। প্রথমত, রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে কখনোই হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন করেন নি। দ্বিতীয়ত – বিভিন্ন হাদীস থেকে মাথা মুন্ডন আপত্তিকর বলে জানা যায়। সাহাবীগন ছোট চুল রাখতেন। নেড়া পরিহার করতেন।
?️
জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না” (দূর্বল সনদ)[৬]
*দূর্বল হলেও বেশ কয়েক সনদে হাদীসটি উল্লেখ আছে। (তবে হাদীসের বর্ননা সূত্রের কেউ মিথ্যায় অভিযুক্ত নন)। আবু নু’আইমের বর্ণনায় হাদিসটি হলো,
“হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না। এছাড়া তা সৃষ্টি বিকৃতি করা বলে গণ্য হবে।”[৭]
?️
অন্য হাদীসে জাবির রা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,
“যে ব্যক্তি (মাথার চুল) মুন্ডন করে, (পোশাক পরিচ্ছদ) ছিড়ে ফেলে বা চিৎকার করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহীহ সনদ) [৮]
?️
দুবা’য়ি নামক এক নিকৃষ্ট অপরাধী ব্যক্তিকে হযরত উমার (রা) শাস্তি প্রদান করেন এবং বলেন,
“তোমাকে যদি মাথা মুন্ডিত অবস্থায় পেতাম তবে আমি যাতে তোমার চক্ষুদ্বয় রয়েছে তা (তোমার মস্তক) তরবারীর আঘাতে কেটে ফেলতাম।” মানে শাস্তি অধিক হতো। [১০]
এ থেকেও বোঝা যায়, সাহাবীগণ মাথা মুন্ডনের অভ্যাস কে আপত্তিকর বলে মনে করতেন। ইমাম আহমাদ ইবনু হানবাল বলেন, প্রথম যুগের সালাফগন মাথা মুন্ডন করা মাকরুহ বলে মনে করতেন।[১০] যদিও তা হারাম বা গুনাহের কাজ ভাবা যাবেনা।
?️
মোল্লা আলী কারী বলেন, “চুল দীর্ঘ হওয়া কোনো নিন্দিত বিষয় নয়। কাঁধ ছাপিয়ে পরিমাপের চেয়ে বড় হলে চুল কেটে ফেলতে হবে বলেও কোনো নির্দেশ নেই।” [১১] সুতরাং পুরুষের চুল কাঁধের নীচে চলে গেছে মানেই তিনি গুনাহ করছেন এটি দ্বীনি জ্ঞানে অজ্ঞদের ভাবনা। তবে এটি দারা অহংকার প্রকাশ যেনো না হয়।
?️
তবে মনে রাখতে হবে- বড় চুল রাখা পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ফকিহ দাড়ি বড় হবার আগে চুল বড় করতে বারন করেছেন (তাশাব্বুহ মায়ান নিসওয়ান)। ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। তবে মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথায় বড় কোথাও ছোট এভাবে কাটা ইসলাম সম্মত নয়।
?️
কাতাদাহ (রা) থেকে বর্নিত – তাঁর কাধ ছাপিয়ে বিশাল চুল নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের কাছে জিজ্ঞাসা করলে রাসূল সা.তাঁকে একদিন পর একদিন চুল আঁচড়াতে এবং পরিপাটি করে রাখতে নির্দেশ দেন। [১২]
?️
চুলে তেল দেয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিথি করাও সুন্নাহ।[১৩]
?️
সুতরাং যাদের দারা সম্ভব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের দায়েমী এ চুলের সুন্নাতের আমল করতে পারি। কেউ বড় চুল রাখলে, কানের লতি ছাপিয়ে নীচে গেলেই না বুঝে আপত্তিকর বাজে মন্তব্য না করি। আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুন।
বিঃদ্রঃ কোন যৌক্তিক কারনে পিতামাতা যদি সন্তানকে চুল ছোট রাখতে বলেন তা মান্যকরা দায়িত্ব। কারন চুল বড় রাখা একটি সুন্নাহ যায়েদা, পিতামাতার বাধ্য থাকা ফরয। সুতরাং এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবেনা।
? আরো বিস্তারিত জানতে
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহি রচিত “ইসলামে পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি পড়ে নিতে পারেন।
?️
রেফারেন্স:
১-তিরমিযী, আশ শামাইল আল মুহাম্মাদিয়া/৪৭-৫০, আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৮১,
আলবানী মুখতাসারুশ শামাইল/ ৩৪-৩৬
২-তিরমিযী, আস সুনান ৪/২৪৬, আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৮৩, ইবনু মাজাহ, আস সুনান ২/১১৯৯, ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৫৭২, ১০/৩৬০, আলবানী, মুখাতাসারুশ শামাইল/৩৫
৩-ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা’আদ ১/১৭০
৪-ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ১০/৩৬০
৫-ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা’আদ ১/১৬৭, শামী সীরাহ শামিয়াহ ৭/৩৪৯-৩৫০
৬- তাবারানী, আল মু’জামুল আউসাত ৯/১৮০
৭-আবু নু’আইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৮/১৩৯
৮-বুখারী,আস সহীহ ৬/২৭৪৮
৯-ইবনু কুদামা, আল মুগনী ১/৬৫
১০-মোল্লা আলী কারী, মিরকাত ৮/২৪০
১১-মিরকাত ৮/২৪০
১২-নাসায়ী – ৮/১৮৪।
১৩- মুয়াত্তা মালিক- ২/৯৪৯।
Related Images:

ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ
শেক্সপিয়র বলেছিলেন ,
“একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । ”
একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde.
“নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।”
বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে ঢোকা একটা ভন্ডামী। শুধুই সুযোগের অপেক্ষা। সবশেষ পরিনতি পরকীয়া।
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ,
“ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে। হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই। শুধুই সুযোগের অপেক্ষা।”
সত্যি বলতে, ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ। কেননা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে ।
আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। শুধুই সুযোগের অপেক্ষা। আর এটাই স্বাভাবিক ।
তবে তাদের এই মন্তব্য গুলোকে জোরালো ভাবে সমর্থন দিচ্ছে Flirtation যার অর্থ হচ্ছে ছিনালি করা। কড়া ভাষায় বলতে গেলে নোংরামি করা বা সেক্স্যুয়াল এট্রাকশন । বিগত কয়েক বছর আগেও আমরা ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্বকে শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে দেখতাম অনেকটা ভাই-বোনের মতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে তা অনেকটা এগিয়ে Friendship থেকে Flirtation এ রূপ নিয়েছে আর এটা পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির দর্শন থেকে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বর্তমান সময়ে গার্ল ফ্রেন্ড, বয় ফ্রেন্ড সম্পর্ক থেকে এটাই বেশী জনপ্রিয় এর কারন হচ্ছে এতে কারো প্রতি কারো কোনরূপ দায়বদ্ধতা থাকে না, কোন কমিটমেন্ট থাকে না। স্বাধীনভাবে উভয়ই দৈহিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে নিচ্ছে । আর এটা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কারন হতে পারে । যেহেতু বাংলাদেশ প্রথাগতভাবে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আকর্ষন আর নিজেকে আধুনিক হিসেবে জাহির করার মনোভাব এর হাতিয়ার । তাই অভিবাবকদের এখনি যদি সতর্ক না হয়, তবে আমরা ওই সাংস্কৃতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি যখন একটা ছেলে কিংবা মেয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না তার বাবা-মা কে !
তাই লক্ষ্য রাখুন আপনার বোন কিংবা মেয়ে, স্বামী কিংবা স্ত্রী, ভাই কিংবা ছেলে কাদের সাথে মিশছে! সঙ্গ এইখানে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
Related Images:

- « Previous Page
- 1
- …
- 11
- 12
- 13
- 14
- 15
- …
- 18
- Next Page »