বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার | রাত ১২:৩৩
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো!

অক্টোবর ১৯, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবার প্রয়োজন হয় , তেমনি নারী পুরুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হলে তাদের যৌন চাহিদা সৃষ্টি হয় ৷

এটা আল্লাহর একটি সৃষ্টি। তাই প্রতিটি ছেলে মেয়ের উপযুক্ত বয়সে বিবাহ হওয়াটাই শ্রেয়।

কিন্তু আমাদের সমাজে পড়াশোনার নামে, ক্যারিয়ার গড়ার নামে উপযুক্ত সময় থেকে অনেক পরে ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয়। ফলে যৌন চাহিদার বর্শবর্তি হয়ে যেনা ব্যভিচারে পা বাড়ায় যুবক যুবতীরা ৷

আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ৷

সরকারি বিধান মোতাবেকও যদি একজন নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর হয় তারপরও অনেক অভিভাবকেরা ছেলের বয়স নিয়ে গেছে ৩০/৩৫ এ এবং মেয়ের বয়স নিয়ে গেছে ২৫/২৮ এ ৷

অথচ ইসলামিক রাষ্ট্রে ছেলে মেয়েদের এত দেরীতে বিবাহ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই ৷

অভিভাবকের কাছে এখন বিবাহ হয়ে গেছে কঠিন তাই যেনা হয়েছে সহজ ৷
এর জন্য এই সমস্ত সহীহ দ্বীনহীন অভিভাবকরাই দায়ী!

আল্লাহ্ প্রতিজ্ঞাও করেছেন “ বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।”

তবুও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খোজাটা মূলত আল্লাহ্’র উপর অনির্ভরশীলতা’র ইঙ্গিত।

” ﻭﺃﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﻳﺎﻣﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻭ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻴﻦ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻛﻢ ﻭ ﺇﻣﺎﺋﻜﻢ ﺇﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻓﻘﺮﺍﺀ ﻳﻐﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ “

(তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন)
– সূরা নুর। আয়াতঃ ৩২।

পিতা-মাতা তথা অভিভাবকদের জন্য দুটি দিকে খুবই দায়িত্ববান হওয়া দরকার। সন্তান লালন-পালনে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই বিয়ে দিতে হবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কোনো সন্তান জন্ম লাভ করে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়। যখন সে বালেগ হয় তখন যেন তার বিবাহ দেয়। যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিবাহ না দেয় তাহলে সে কোনো পাপ করলে, সে পাপ তার পিতার উপর বর্তাবে।’ (বায়হাকী, মিশকাত হা/৩১৩৮)।

? অতএব,
আপনি ও আপনার সন্তানকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে ও সুন্দর সমাজ গড়তে
আপনার সন্তানকে সামর্থ্য থাকলে বিয়ে দিয়ে দেন তাড়াতাড়ি।
:
আল্লাহ বলেনঃ
চরিত্র রক্ষার জন্য যারা বিয়ে করবে তারা যদি অভাবি হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। (সুরা নুর : ৩২)

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: ইসলাম, জেনে নিন, ধর্ম, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত

সব পোস্ট পাবলিক করতে নেই!

অক্টোবর ১৮, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

রাত প্রায় তিনটে, আওয়াজ শুনে মহিলার হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল। তাকিয়ে দেখে চার ডাকাত মুখে কাপড় বেঁধে, পিস্তল হাতে ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। মহিলার স্বামী খাটের সঙ্গে বাঁধা, বাচ্চাদের পাশের ঘরে বন্ধ করা।
ডাকাতরা আলমারি আর সব তন্ন তন্ন করে খুঁজে অনেক টাকা আর গয়না পেয়ে গেছে।

হঠাৎ এক ডাকাত মুখের কাপড় সরিয়ে মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে …
“তোর আমেরিকায় থাকা ভাই দেড় লাখ টাকা দামের আইফোন পাঠিয়েছিল, সেটা কোথায়? আর বিবাহ বার্ষিকীতে তোর বর যে হীরের নেকলেস দিয়েছিল সেটা?

মহিলা প্রচণ্ড ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল “কিন্তু, তুমি এসব কিভাবে জানলে?”

ডাকাতটা বলে উঠল …
“রোজ দেখছি তোকে , আমরা জানবনা ? আমরা সব জানি … আমরা তো তোর ফেসবুক ফলোয়ার …!”

বিঃদ্রঃ গল্পের ছলে হলে কথা কিন্তু খুব সত্যি…। পোস্ট টা হাসি র হলেও রিয়েলিটি আছে, ফেসবুকে কখনও ব্যাক্তিগত তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়।

তাই বলছিলাম – সব পোস্ট পাবলিক করতে নেই —

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জোকস, সংগৃহীত

অনুপ্রেরণা

অক্টোবর ১৮, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

? শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি। কিন্তু দিনশেষে আজকে শচীনকে পুরো বিশ্ব ক্রিকেট নক্ষত্র হিসেবেই জানে। কারণ তিনি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করাদের মধ্যে একজন। আর আপনি দু’একবার কোনো কাজে হেরে গেছেন তো আবার অন্য পথ খুঁজেন।

? মার্ক জুকারবার্গকে যখন তার গার্লফ্রেন্ড সকল সোশ্যাল সাইড থেকে ব্লক করে দেয়, তখন সে জেদ করে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইড ফেসবুক তৈরি করে, যার মাধ্যমে সে ওয়ার্ল্ডের টপ ফাইভ রিচম্যানদের একজন। আর আপনি হলে কী করতেন? শেভ করা ছেড়ে দিয়ে, সিগারেট টানতেন আর বলতেন- বেঁচে থেকে কী লাভ!

? টমাস আলভা এডিসন একটা বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করতে গিয়ে যতবার ব্যর্থ হয়েছেন এই পৃথীবীর ইতিহাসে তত বছর কেউ বাঁচেওনি। ৯৯৯ বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আর আপনি? সাকসেস হওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন কতবার চেষ্টাটা করতে পারবেন?

? সাইকেল গ্যারেজে কাজ করা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় যতবার প্ল্যান করে বিমান উড়াতে চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হয়েছেন, আপনি ততবার প্ল্যান করে পাখির উড়াও দেখেননি। তবু তিনি বিমানটা আবিষ্কার করেই ছাড়লেন।

? আপনার পাশের বাসার ছেলেটি কিংবা পাশের গ্রামের মেয়েটি অথবা আপনার যে বন্ধুটি গতবার চাকরিটা পেয়ে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন, আপনি তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন, আর বলছেন- কী কপাল তার! নারে বস, এটা তার কপালের গুণে পায়নি। পরিশ্রমের গুণে পেয়েছে। সৃষ্টিকর্তাকে একবার জানান দেন সাকসেস না আসার আগ পর্যন্ত আপনি থামবেন না, হেরে গেলেও না, বারবার ব্যর্থ হলেও না। ছোটবেলায় যেভাবে একবার হাঁটতে না পারলে আবার চেষ্টা করতেন, পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে কান্না করতে করতে আবার দেয়াল ধরে হাঁটতে চাইতেন, আবার পড়তেন আবার হাঁটতেন। কেউ আপনাকে তখন থামায় রাখতে পারেনি। নাছোড়বান্দার মত আপনি লেগেছিলেন। এখন সময় এসেছে আবার দাঁতে দাঁত চেপে নাছোড়বান্দার মত লেগে থাকার। যে যাই বলুক, যে যা করুক, আপনি শুধু লেগে থাকেন। বাকিটা সিস্টেম্যাটিক্যালি স্রষ্টা আপনাকে দিয়ে দিবেন।

©NUCU

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: প্রেরণা, সংগৃহীত

যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে মূল্যায়ন করবে

অক্টোবর ১২, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, ‘এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে’।

ছেলেটা বললো, ‘কি কাজ?’

– ‘এই ঘড়িটা নিয়ে রাস্তার পাশের ঘড়ির দোকানে যাবে। তাদের বলবে যে এই ঘড়ি তুমি বিক্রি করতে চাও’।

ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা রাস্তার পাশের একটা ঘড়ির দোকানে বিক্রি করতে নিয়ে গেলো। সে ফিরে এলে তার বাবা বললো, ‘ঘড়ির দোকানদার কতো টাকা দিতে চাইলো ঘড়িটার বিনিময়ে?’

ছেলেটা বললো, ‘একশো টাকা মাত্র। ঘড়িটা নাকি অনেক পুরাতন, তাই’।

বাবা বললেন, ‘এবার পাশের কফি শপে যাও। তাদেরকে বলো যে তুমি এই ঘড়ি বিক্রি করতে চাও’।

ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা নিয়ে পাশের এক কফি শপে গেলো৷ ফিরে এলে তার বাবা জানতে চাইলো, ‘কি বললো ওরা?’

– ‘ওরা তো এটা নিতেই চাইলো না। বললো, এতো পুরোনো, নোংরা ঘড়ি দিয়ে আমাদের কি হবে?’

বাবা হাসলেন। বললেন, ‘এবার তুমি এই ঘড়ি নিয়ে জাদুঘরে যাও। তাদের বলো যে এই ঘড়িটা আজ থেকে দুই’শতো বছর আগের’।

ছেলেটা এবারও তা-ই করলো। সে ঘড়িটা নিয়ে জাদুঘরে গেলো। ফিরে এলে তার বাবা বললো, ‘কি বললো ওরা?’

– ‘ওরা তো ঘড়িটা দেখে চমকে উঠেছে প্রায়! তারা এই ঘড়ির দাম বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে চাইলো আমাকে’।

ছেলের কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, ‘আমি তোমাকে এটাই শিখাতে চাচ্ছিলাম যে, যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে জীবনে মূল্যায়ন করবে। আর যারা তোমার মূল্য বুঝবেনা, তারা কোনোদিনও তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা। তাই, যারা তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা তাদের দেখে হতাশ হয়ে পড়ো না। তারা তোমার মূল্য বুঝতে অক্ষম। তুমি তাদের কাছেই যাবে তারা তোমার সত্যিকার মূল্য বুঝবে…’।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত

বাবা-মার সাথে সন্তানের সম্পর্কটা হওয়া চাই “বেষ্ট ফ্রেন্ড” এর মতো।

অক্টোবর ১১, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

রিয়েলিটি শো-তে এক মেয়েকে প্রশ্ন করা হলো– আপনি লাইফে কয়টা রিলেশন করেছেন?

প্রশ্নটির জবাবে মেয়েটি মুচকি হেসে বললো– এ প্রশ্নটির জবাব একমাত্র আমার বাবা দিতে পারবে। আর তাই আমি আমার
বাবাকে ফোন দিতে চাই।

সবাই মেয়েটির এমন উওর শুনে অবাক হয়ে গেলো, সঞ্চালোক বল্লেন – জ্বি সমস্যা নেই, আপনি আপনার বাবাকে ফোন দিতে পারেন।

মেয়েটি অতঃপর তার বাবাকে ফোন দিলো — এবং জিজ্ঞাসা করলো “বাবা আমি লাইফে কয়টা রিলেশন করেছি”।

ফোনের ওপাশ থেকে বাবা বলে উঠলো – “মা একটা ও না”।

বিচারকদের মধ্যে একজন মেয়েটির বাবাকে বলে উঠলো – আপনি কীভাবে শিউর যে আপনার মেয়ে লাইফে কোনো রিলেশন করেনি?

— মেয়েটির বাবা তখন বললো — আমার মেয়েটির বয়স যখন সবে মাত্র সাত বছর সেই বয়স থেকে আজ ওর ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত আমিই হচ্ছি ওর একমাত্র বেষ্ট ফ্রেন্ড। আমি কখনো আমার মেয়েকে বলিনি যে – মা, আমার এ কাজটি পছন্দ নয় বা এ কাজটি যদি তুমি ভুল করেও কর, তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবেনা বা কখনোই আমি এরূপ আচরণ করিনি বিধেয় আমার মেয়ে কোনো সংকোচ ছাড়াই সবকিছু আমাকে বলতো।

আমি রাস্তায় যদি কখনো কোনো মেয়েকে অসভ্যতার মতো চলতে দেখতাম বা কোনো অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েকে প্রেম করতে দেখতাম, আমি বেষ্ট ফ্রেন্ডের মতো আমার মেয়েকে সেগুলো লক্ষ্য করে বলতাম — মা এগুলো ভালো নয়, কখনো এই পথে যেওনা, না হলে তোমার সুন্দর ফিউচার নষ্ট হয়ে যাবে।

আমার এখনও মনে আছে আমার মেয়ে প্রথম যখন প্রেমের পস্তাব পায় তখন আমার মেয়ে সবে মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে, আমাকে এসে ঝাপটে ধরে বলে বাবা আজকে না পাড়ার রবিন নামের ছেলেটা আমায় ফুলের তোড়া আর চকলেট দিয়েছে এবং বলেছে ও আমাকে ভালোবাসে, আর তাই আজকে স্কুল থেকে আমি ওর সাথে ঘুরতে গিয়েছি।

আমি তখন হাসি মুখে বললাম — তাই মা, ভালো । আমার এ উওরটি শুনে আমার মেয়েটি হাসি মুখে বললো– আমি জানতাম বাবা তুমি আমায় কিছু বলবে না, অথচ ফ্রেন্ডরা আমায় বারবার বললো তোমাকে এ কথা বলতে না, তুৃমি শুনলে নাকি আমায় অনেক মারবে, কিন্তু আমি বলেছি না আমার বাবা এমন নয় আর ওনি শুধু আমার বাবা নয় আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড, বাবা আমি ঠিক বলেনি?

— হুম ঠিক বলেছিস মা। এই বলে আমি আমার মেয়েটির হাত ধরে ওকে একটা আমগাছের সামনে নিয়ে যাই । অতঃপর একটা বড় লাঠি দিয়ে আমগাছ থেকে আম পাড়তে চাইলে আমার মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বলে উঠে– বাবা তুমি এটা কী করছো?— কেন মা আম পাড়ছি।

— বাবা তুমি দেখছোনা আমগুলো এখনো ছোট সবেমাত্র মকুল থেকে আম হয়েছে, এগুলো এখন পাড়া বা খাওয়া কোনোটাই উচিত নয় ।

আমার মেয়ের এ কথা শুনে আমি আমার মেয়েটির হাতটা ধরে বললাম — মা, এমন কথা যদি আমি তোকে বলি? আমি যদি বলি এখন এসব প্রেম, ভালোবাসা করা উচিত নয়, কারন তুই এখন ও ছোট, তুই কী মানবি? এই আমগুলো এখন যেমন খাওয়া যাবেনা, আর কেউ খেলে ও তা সাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর ঠিক তেমনি মা এই এই বয়সে প্রেম- ভালোবাসা ও তোর ভবিষ্যৎতের জন্য অমঙ্গলকর, এই বলে আমি চলে আসলাম।

সেদিন থেকে ক্লাস টেন অবদি আমার মেয়ে সবসময় আমার এ কথাটিকে মনে রেখে জীবন পথে চলেছে। আমার এখন ও
মনে আছে ক্লাস এইটে থাকতে — একদিন মেয়ে খুব বায়না করেছিলো জিন্স পড়ার জন্য, আমি তখন মেয়েকে বলেছিলাম
ঠিক আছে কিনে দিবে, পরেরদিন একটা জিন্স এনে দিয়েছিলাম, মেয়ে সেটা পড়ে দিব্যি খুশীতে আমার সামনে হাঁটতে থাকে, আমি তখন মেয়েকে দেখিয়ে টিভির উপরে দেওয়া পর্দাটাকে সরিয়ে ফেললাম এবং বাইরে ফেলে দিলাম,আমার মেয়ে তখন রেগে বললো– বাবা তুমি এটা কী করলে?

আমি তখন বললাম– টিভির উপরে আবার পর্দা দেওয়ার কী দরকার, এমনেই তো ভালো লাগে তাই ফেলে দিলাম। আমার মেয়ে তখন বললো — উফ বাবা! তুমি জাননা টিভির উপর পর্দা না দিলে ময়লা বা ধূলাবালি পড়ে।

আমি তখন মেয়েকে হেসে বললাম– ঠিক তেমনি মা অশালীনতা পোশাকে নারীর শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়, ধূলাবালি পড়ে আর সেই ধূলাবালি কী জানিস মা? পাড়ার বখাটে ছেলেদের খারাপ দৃষ্টি আর বাঝে মন্তব্য, আর রবিন নামের হাজারো ছেলের আবেগকে প্রেমনামে প্রকাশ করে হাজারো মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা।

সেদিন থেকে আমার মেয়ে আজ পর্যন্ত কখনোই অশালীনতা পোশাক পরেনি। ইন্টারে থাকতে আমার মেয়ে লাইফে সবথেকে বড় একটা ভুল করতে গিয়েছিল কিন্তু আমি বেষ্ট ফ্রেন্ডের মতো আমার মেয়ের সেই ভুলকে ও সুদ্রে দিলাম।

একদিন আমার মেয়ে এসে আমাকে বলললো —
বাবা আমি মোহন নামের একটি ছেলেকে ভালোবাসি, প্লিজ বাবা তুমি এটা মেনে নেও, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবোনা, আমি বুঝেছি আমার মেয়ে আবেগের বয়সে চোখে সব শর্স্যফুল দেখছে কিন্তু আমি মেয়েকে বললাম — বেশ তো মেনে নিবো। আচ্ছা একটা কথা বলতো মা? আমাদের এই দেশে আমরা কী সবজায়গায় যেতে পারি?

— হ্যা বাবা সবজায়গা যেতে পারি।

— না মা, আসলে আমাদের এই দেশে আমরা সবজায়গা যেতে পারিনা, যেমন বর্ডারের সীমান্তে আমরা সাধারণ মানুষরা যেতে পারিনা, সেখানে শুধু নির্দিষ্ট শ্রেণীর লোকেরাই যেতে পারে, ঠিক তেমনি মা এই প্রেম করার একটা নির্দিষ্টতা আছে আর সেই নির্দিষ্টতা হচ্ছে বিয়ে, তুই বরং মোহনকে বিয়ে করে ফেল, ঠিক আছে?

আমার মেয়েটি আমার কথাগুলো শুনে কেমন জানী মাথা নিচু করে চলে গেলো, কিছুসময় পর আমার সামনে এসে বললো

— না বাবা আমি এখন বিয়ে করবো না, বিয়ে মানে অনেক ভেজাল।

আমি তখন হেসে- হেসে বললাম মারে তোর এই বয়সটা হচ্ছে আবেগের, চোখে একটা হলুদ চশমা পরে আছিস যার ফলে পৃথিবীটাকে হলুদ দেখাচ্ছে কিন্তু আসলে কী পৃথিবীটা হলুদ?

আমার মেয়ে মাথা নাড়িয়ে বললো — না বাবা।

— এই জিনিসটাই এই বয়সে তোদের আমরা বুঝাতে পারিনা।

— স্যরি বাবা, আমি এবার থেকে সঠিক পথে চলবো ।

এভাবেই আমার মেয়েটার ভুলগুলোকে আমি একটু- একটু করে ঠিক করে দিয়েছি বিধেয় আজ আমার মেয়ে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং আমার জামাতা পেশায় একজন ডাক্তার পাশাপাশি একজন খাঁটি মানুষ ও বটে। যার কারনে আজ বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাটতে পারি। আসলে স্যার আমাদের সন্তানের সাথে সম্পর্কটা একটা বেষ্ট ফ্রেন্ডের !!

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জেনে নিন, মগজ ধোলাই, শিশু সুরক্ষা, সংগৃহীত, সুখি পরিবার Tagged With: parental responsibilities

  • « Previous Page
  • 1
  • …
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • …
  • 22
  • Next Page »

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর5:25 AM
    সূর্যোদয়6:32 AM
    জোহর11:53 AM
    আসর3:37 PM
    মাগরিব5:13 PM
    ইশা6:20 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাসঃ ★ ভুতের গলিঃ এখানে বৃটিশ একজন লোক থাকতেন নাম ছিল Mr. boot, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীকালে ভুতের গলি নাম হয়েছে। ★ এলিফ্যানট রোডঃ পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো “হাতির ঝিল” এ গোসল করাতে, তারপর “রমনা পার্ক”এ রোঁদ পোহাতো। সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণে এলিফ্যান্ট রোড। পথের মাঝে ছোট্ট একটি […]

Copyright © 2025