করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটার পর থেকেই বিভিন্ন দেশে মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সুপার মার্কেটগুলোতে মাস্ক নেই, এমন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। তবে মাস্ক কী আসলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. উইলিয়াম স্ক্যাফনার বলেছেন, সহজাতভাবেই মানুষ মনে করে তার নাক ও মুখ স্কার্ফ বা মাস্ক দিয়ে ঠেকে রাখলে চারপাশে ঘুরতে থাকা এসব ভাইরাস থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে। কিন্তু করোনাভাইরাস-এর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা যেগুলো বাতাসে ঘুরে বেড়ায় তা সার্জিক্যাল মাস্ক পরলেও আটকানো সম্ভব না। বরং যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা গেছে এবং বাইরে যেতে হবে, তাদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেয় সিডিসি; কেননা করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তি যখন কাঁশি বা হাঁচি দেয় তখন যেন তার চারপাশের মানুষজন সুরক্ষিত থাকতে পারে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবাকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এসব মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি।
মাস্ক পরলে বাড়ে করোনার ঝুঁকি!!!
ডা. অ্যাডামস বলেন, যারা সঠিকভাবে মাস্ক পরতে পারে না তাদের মুখে হাত দেয়ার প্রবণতা বেশি এবং এর কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তাহলে কাদের মাস্ক পরা উচিত:
- যারা প্রকৃতপক্ষেই অসুস্থ। এতে ভাইরাস ছড়ানোর পরিমাণ কমবে।
- সাধারণ হাঁচি-কাশি আক্রান্ত রোগী।
- যারা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
- সুস্থ ব্যক্তি যখন করোনা আক্রান্ত কারো নিকটে যাবেন।
- পাবলিক প্লেসে, কারণ সেখানে যে কেউ হঠাৎ হাঁচি দিতে পারে।
Related Images:
