আসলে সব ধরনের ভালো কাজ, যা আল্লাহ পাক পছন্দ করেন, তা-ই আরাফার দিনের আমল। তারপরও বোঝার সুবিধার্থে আরাফার দিনে আমরা যা যা করতে পারি, তার মোটামুটি একটা তালিকা –
১- সিয়াম পালন। যা আগত ১ বছর এবং বিগত ১ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবে ইন শা আল্লাহ ।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ❝যে ব্যক্তি আরাফার দিনের ছিয়াম পালন করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর এক বছর আগের এবং এক বছর পরের ছগীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন❞। (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২; মিশকাত, হা/২০৪৪)
২- আরাফার দিন ফজর থেকে ১৩ জিলহাজ্জ আসর পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর নির্ধারিত তাকবীর পাঠ-
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। (আহমদ: ১৩২)
৩-সূর্যদোয়ের ১৫-২০ মিনিট পর ইশরাকের সলাত অথবা সকাল ১০/১১ টার দিকে চাশত এর সালাত আদায় করা।
৪- নিজের জানা-অজানা, ছোট-বড় সব রকম গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া এবং তওবা করা (গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করা)।
৫- আরাফার দিনের দুয়াটা বেশি- বেশি করে পড়া।
আরাফাতের দিনে দো‘আ: নবী (সা) বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলক, ওয়া লাহুল হামদ, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বদীর।
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (তিরমিযী ৩৫৮৫)
৬- সাধ্য অনুযায়ী দান-সাদাকা করা, সম্ভব হলে রোজাদার মানুষকে ইফতার করানো।
৭- কুরআন তিলাওয়াত এবং দরুদ পাঠ ইত্যাদি।
আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে বেশী থেকে বেশী করে আরাফার দিনে আমল করার তাওফিক দান করেন।
Related Images:

মন্তব্য করুন