স্ত্রীর পরকিয়ায় বাঁধা দেবেন? রাতে মনোমালিন্য হবে?
পরেরদিন সকালে বউ যাবে কোর্টে মামলা করতে। মামলা হবে–তার স্বামী তাকে মারধর করে যৌতুক চেয়েছে। উকিলসাহেবগণ অফারটা লুফে নেবেন। এরকম ক্ল্যায়েন্ট পেলে সব জায়গায় সুবিধা পাবেন, তারা তা জানেন।
বউ উকিলকে বলবেন, “স্বামীকে আর কি কি উপায়ে ফাঁসানো যায় !”
উকিল সাহেব বলবেন, “স্বামী কি সত্যিই আপনাকে মারধর করে?”
স্ত্রী বলবেন, “না, বকাঝকা করে”
উকিল বলবেন, “যদি মারধর করে, তাহলে নারী নির্যাতনের মামলা দিতে পারবেন। কিছুদিন জেল খাটাতে পারবেন। বিচার শুরু হবার আগেই।”
ঠিক সে সময়ই স্ত্রী অফারটা লুফে নেবেন।
স্ত্রী বলবেন, “তাহলে আমাকে নির্যাতন করেছে, সেই মামলা করে দেন।”
উকিল বলবেন, “অপনি একজন মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জোগাড় করে ফেলেন। কোর্টে প্রমাণ করতে সহজ হবে। স্বাক্ষীও জোগাড় করেন। রায় পেতে সহজ হবে।”
স্ত্রী মনে করেন, ” যাক তাহলে এবার স্বামীকে শায়েস্তা করতে সহজ হবে।”
মামলা চলতে থাকে স্বামীর বিরুদ্ধে। কোর্টে।
স্ত্রী চলে যাবেন বাপের বাড়ি, মামলা করার পরই অথবা কিছুদিন আগে।
মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলতে থাকবে।
উকিল এর পরামর্শ অনুযায়ী স্ত্রী সকল আয়োজন সম্পন্ন করবে।
স্ত্রী কিন্তু এই অবস্থায় ডিভোর্স দেবেন না। কারণ যৌতুকের মামলার নথিতে লেখা থাকবে–
“অনেক জোর করে স্বামীর ঘরে থাকতে চান স্ত্রী। সন্তান থাকলে বলবে–এক কাপড়ে সন্তানকে লাথি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। স্ত্রী ও সন্তান এর প্রাণনাশের সম্ভাবনা থাকতে পারে। অতএব হুজুরের নিকট আর্জি জানায়, তার দাম্পত্য জীবন এর পুনোরুদ্ধারে কিছু করা হোক।”
বিচারকরাও জানেন সব কিছু। দেশের ৯০% এর পারিবারিক এই সকল মামলা মিথ্যা। পুরুষরা যে সকল ক্ষেত্রে সাধু, এটা দাবি করছি না। সত্যিকার নির্যাতনও আছে নারীর প্রতি। কিন্তু সেই সংখ্যাটা একদম নগণ্য। এটা আবার নারীবাদীরা বিশ্বাস করতে চান না।
একসময় এই মামলার পরিণতি হবে বিচ্ছেদ। কারণ এরকম মামলার পরে এক ছাদের নিচে বসবাস করাটা খুব কঠিন। একসময় মেয়ে পক্ষের উকিল এবং মেয়ে পক্ষ থেকে ছেলেপক্ষকে তালাকের জন্য বলা হবে। ছেলে তালাক দিলে আবার মেয়েপক্ষের জন্য সুবিধা হয়। যাই হোক, শেষ পরিণতি বিচ্ছেদের দিকে যায়। ৯৯% ক্ষেত্রে। এই হলো বর্তমানে দেশের কোর্ট এবং সামজিক পরিস্থিতি।
এই বিচ্ছেদের দায় কাদের? আমার গত ৩ বছরের গবেষণায় উঠে এসেছে কিছু ব্যবহারিক বিষয়/পয়েন্ট, যা নিচে তুলে ধরা হলো—
০১. নারীদের জন্য আইন সহজলভ্য/সস্তা হয়ে গেছে।
০২. পুরুষের সাধ্যের অতিরিক্ত চাপিয়ে দেওয়া দেনমোহর
০৩. নারীদের সংসারে পারিবারিক ইন্ধন বা অযাচিত হস্তক্ষেপ
০৪. বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই পুরুষদের প্রতি প্রশাসন/কোর্ট এর অবিচার
০৫. সুষ্ঠু বিচার না হওয়া।
০৬. ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা
#collected
Related Images:

মন্তব্য করুন