এককথায় একগুঁয়ে ও জেদীরাই দাম্পত্য জীবনে ব্যর্থ। যে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে আবেগ-ভালোবাসা আর নমনীয়তার বিচক্ষণতা হারিয়েছে আর নিজের মতামত ও জিদকে প্রাধান্য দিয়েছে, সে-ই দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে বেশী ব্যর্থ হয়েছে। এবং এমনকি আত্মীয়দের সাথেও সুসস্পর্ক গড়তে ব্যর্থ।
কিন্তু কেন?
(১) বড়ত্ব এবং বিজয়ের জন্য নিজের আমিত্বকে জাহির।
(২) জেদীদের ধারণা, “যদি সে নিজের মতামতের উপর দৃঢ় থাকে, তবে সে বিজয়ী হবে”। কিন্তু সে একথা ভুলে যায় যে, জিদ করে যদি একটা বিজয় পেয়েও যায়, বিপরীত দিকে সে এমন একটি হৃদয় হারায় যে তাকে ভালোবাসতো।
(৩) যে নম্রতার সাথে সঙ্গীকে সঙ্গ দেয় ও তার ভালোবাসা আদায় করার কৌশল বুঝে, তাকেও তার সঙ্গী অধিক ভালোবাসে ও তাকে আঁকড়ে রাখে।
(৪) ঝড় উঠলে তা চলে যাওয়ার জন্য যে অপেক্ষা করে, সে-ই বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী, তার পক্ষেই সংসারকে চিরকাল আঁকড়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু যে শুকনো গাছের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে, সে মচকে যায় বা এমনভাবে ভেঙ্গে যায় – যা আর জোড়া লাগে না।
(৫) নিজের মতের উপর অটল জেদীদের বিশ্বাস হচ্ছে, আমিই বিজয়ী হব, তুমি পরাজিত হবে। কিন্তু সে মূলত: অন্যকে ধ্বংস করার পূর্বে নিজেকেই ধ্বংস করে। সর্বদা আফসোসের জীবন অতিবাহিত করে। যার তিক্ততা সে ভোগ করে দুনিয়া ও আখেরাতে।
(৬) একগুঁয়ে ও জেদীদের পরিণাম শেষ হয় তালাকের মাধ্যমে। ফলে তারা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হয় ব্যর্থ।
(৭) এক বেদুঈন নারী তার কন্যার বিদায়ের দিন যে উপদেশ দিয়েছিল তা অত্যন্ত চমৎকার ও প্রজ্ঞাপূর্ণ। উপদেশটি হচ্ছে:
“তুমি স্বামীর সামনে নিজেকে একজন দাসীতে পরিণত কর। দেখতে পাবে অচিরেই সে তোমার দাসে পরিণত হয়ে যাবে।”
ভালো পুরুষ ধৈর্যশীল ও উদার হয়ে থাকে, ভালো নারী নম্র ও আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে।
কিন্তু নির্বোধ ও একগুঁয়ে-জেদীরা তাদেরকে শত্রুতে পরিণত করে।
Related Images:

মন্তব্য করুন