দাদা তার তিন বছরের নাতিকে নিয়ে মসজিদে গেল। দাদা নামাজে দাড়ানোর পর নাতির পশ্রাব ধরলো। দাদার পান্জাবি ধরে টানতেছে আর ডাকতেছে, দাদ – দাদা, ও দাদা,, দাদা – দাদা ও দাদা। পাশে আরেক হাজি সাহেবের বসা ছিল, সে বিরক্ত হয়ে বাচ্চাটাকে ইচ্ছামত ধমক মারলো, বাচ্চা ভয়ে মসজিদেই পশ্রাব করে কান্না শুরু করে দিল। হাজী সাহেব ধমক দিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না আরও বলতেছিল, মসজিদে আসে নাকি ডং করতে আসে! আন্ডা বাচ্চা মসজিদে এনে ইবাদতের পরিবেশটা নষ্ট করে দেয়।
ইমাম সাহেব এগিয়ে আসলেন, হাজী সাহেবকে বললেন, আপনি বাচ্চাকে ধমক দিলেন কেন? একে ভয় পাইয়ে দিলেন কেন? বাচ্চার মসজিদে আসার আনন্দ নষ্ট করলেন কেন? আপনি ধমক না দিয়ে নরম গলায় বলতে পারতেন, এই বাবু নামাজ পরার সময় কথা বলা যায় না, আমিও তোমার আরেক দাদু। কি সমস্যা আমায় বল। তারপর বাবুকে কোলে করে বাইরে নিয়ে পশ্রাব করিয়ে এনে বাবুর আনন্দটা ধরে রাখতে পারতেন।
আসলে আমাদের বাংলাদেশের প্রায় সকল মসজিদেই কিছু মুছুল্লী আছে যারা মসজিদে বাচ্চাদের দেখতেই পারেন না, আর যদি একটু দুষ্টুমী করে তবেতো কথাই নেই, একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন।
এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন, তাদের বুজানো দরকার যে, যে জীবনে ফুটবল/ক্রিকেট খেলে নাই তাকে যেমন হঠাৎ খেলার মাঠে নামিয়ে দিলে সে যেমন খেলতে পারবে না। তাকে খেলতে খেলতেই খেলোয়ার হতে হয়। তেমনি মসজিদে আসতে আসতেই একটি শিশু আগামী দিনের পাকা মুসুল্লী হবে।
তাই শিশুদের জন্য মসজিদ হোক আনন্দময় পরিবেশ।
Related Images:

মন্তব্য করুন