বাসায় কিছুদিন আগে ১২-১৩ বছেরর একটা কাজের মেয়ে এনেছিলাম। মেয়েটি কাজ-কর্মে ভালই ছিলো, চটপটে ও চতুর ছিলো। মেয়েটির জ্ঞান-বুদ্ধি ভাল দেখে মেয়েটিকে লেখাপড়া করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করি এবং আমার ছেলে যে কিন্ডারগার্টেনে পড়ে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে পঞ্চম শ্রেনীর বই সংগ্রহ করে পড়াশোনা শুরু করিয়ে দিই।পাশাপাশি বাসায় কম্পিউটারের হাতে-খড়ি ও সেলাই প্রশিক্ষণ দিতে থাকি।
বাসায় অন্য বুয়া থাকায় মেয়েটির মূলত: কাজ ছিলো- আমার বাচ্চাদের সাথে সঙ্গ দেয়া, ওদের সাথে খেলা করা, আর টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ পালন করা। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই চাচ্ছিলাম, আমাদের বাসায় থেকে মেয়েটির একটি সুন্দর ভবিষ্যত গঠন করে দেয়া। মেয়েটি যদি ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে তাহলে সম্ভব হলে ভবিষ্যতে একটা চাকুরিও যদি জুটিয়ে দেয়া যায় সেভাবে তাকে গড়ে দেয়া-আমরা এটাই চাচ্ছিলাম।
কিন্তু কথায় বলে সুখে থাকলে ভুতে কিলায়। কিছুদিনের মধ্যে আবিষ্কার করলাম, মেয়েটি আমাদের মোবাইল ব্যবহার করে প্রায় ৪-৫ জন লোকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছে। মোবাইল কল রেকর্ডে তাদের কনভার্সেশনে এডাল্ট কথা-বার্তা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। যাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করছে, তাদের সাথে আমি নিজে কথা বলে আরো হতবাক হলাম যে, ৩ বাচ্চার বাপের সাথেও গভীর সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে অত:পর মেয়েটির পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে অবশেষে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দিয়ে দিই।
খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ওর বাবা বিয়ে করেছে ৩ টা!
ওর ভাই আরেকজনের বউ বাচ্চাসহ ভাগিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করেছে!!
জেনেটিক্যালি মেয়েটি এ স্বভাব পেয়েছে!!
Related Images:

মন্তব্য করুন