পৃথিবীর সবচেয়ে সুমধুর ধ্বনির নাম আজান—এটি মুসলিম-অমুসলিম-নির্বিশেষে কোটি মানুষের উপলব্ধি। আজানের আওয়াজ শুধু মুসলমানের অন্তরেই নাড়া দেয় না, বরং তা অমুসলিমের অন্তরকেও আকর্ষণ করে। যুগে যুগে যার অজস্র উদাহরণ রয়েছে। হ্যাঁ, হিংসুক ও নিন্দুকের কথা ভিন্ন।
তাই ইসলামে আজানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আজান শুনে আজানের জবাব দেওয়ারও রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।
আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
মুওয়াযযিন যখন “আল্লাহু আকবার, আল্লা-হু আকবার” বলে,
তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলে,
“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার”।
যখন মুওয়াযযিন বলে
“আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”
এর জবাবে সেও বলেঃ “আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”।
অতঃপর মুওয়াযযিন বলে।
“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ”
এর জবাবে সে বলেঃ “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্লহ”।
অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “হাইয়্যা আলাস সলাহ”
এর জবাবে সে বলে,
“লা-হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”।
অতঃপর মুওয়াযযিন বলে, “হাইয়্যা ‘আলাল লাফাহ”
এর জবাবে সে বলেঃ “লা- হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ”।
অতঃপর মুওয়াৰ্যযিন বলে,
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার” এর জবাবে,
সে বলেঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার”।
অতঃপর মুওয়াযযিন বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লহ,
এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লহ।”
আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে জান্নাতে যাবে।
[সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৭৩৬- তাওঃ–পাবঃ]
Related Images:

মন্তব্য করুন