লন্ডনে আয়েশী জীবন ছিলো তাঁর। সপ্তাহে দু’দিন ফ্লাইং ক্লাবে বিমান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ নিতেন। লেটেস্ট মডেলের বিলাশ বহুল গাড়ি ছিলো তাঁর।
যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো, রাস্তার পাশে সেই গাড়ি রেখে উড়ে এলেন ভারতে। প্রিয় গাড়িটির দিকে একবার ফিরেও তাকাননি। বিদেশী বন্ধুদের কাছে সাহায্য চাইলেন অকুণ্ঠচিত্তে। এরপর পশ্চিমবঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য খুললেন হাসপাতাল। যুদ্ধকালীন সময়ে চিকিৎসা দিলেন অজস্র মানুষকে।
করোনা ভাইরাসের থাবায় গোটাবিশ্ব অসহায়। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অসুস্থ্য মানুষজন করোনা টেস্ট করানোর জন্য ঘুরছে দিগ্বিদিক। হটলাইন ফোন ধরছে না, আইইডিসিআর ফিরিয়ে দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট সংকট চরমে, পরীক্ষা করবে কী দিয়ে?
এমন নাজুক অবস্থার খবরে সারাদেশের মানুষ যখন দুশ্চিন্তায় অস্থির তখন আবারো এগিয়ে এলেন সেই মানুষটি। যিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এগিয়ে এসেছিলেন। উনি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আবিস্কার করলো করোনা শনাক্ত করার কিট। আরো আশার খবর হলো সরকার এই কিট উৎপাদনের অনুমতিও দিয়েছে।
অথচ এই মানুষটাকে নিয়ে আমরা কতোই না তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি। তার সাদামাটা পোশাক নিয়ে হাসাহাসি করি। কারো মতের সাথে না মিললেই তাকে আমরা আক্রমণের নিশানা বানাই। এই মানুষটি কিছুদিন আগেও যেভাবে অপদস্ত হয়েছেন, দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা না থাকলে কেউ এই মুহূর্তে এভাবে এগিয়ে আসতে পারেন না।
স্যালুট, স্যার।
স্যারের সুস্থতা ও দীর্ঘয়ায়ু কামনা করছি এবং যারা তার নামে মিথ্যা মামলা ও হামলা চালাচ্ছে তাদেরকে আল্লাহ হেদায়েত দিক।
(সংগৃহীত)
Related Images:

মন্তব্য করুন