আইন অনুযায়ী যে সব কারণে একজন স্ত্রী আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবেঃ
- স্বামী চার বৎসর পর্যন্ত নিরুদ্দেশ থাকলে।
- স্বামী দুই বৎসর স্ত্রীর খোরপোষ দিতে ব্যর্থ হলে।
- স্বামীর সাত বৎসর কিংবা তার চেয়েও বেশী কারাদন্ড হলে।
- স্বামী তিন বছর যাবৎ দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে (কোন যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিত)।
- বিয়ের সময় পুরষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করা পর্যন্ত বজায় থাকলে।
- স্বামী দুই বৎসর ধরে পাগল থাকলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে বা মারাত্মক যৌন ব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে।
- বিবাহ অস্বীকার করলে (অভিভাবক যদি ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেন, তাহলে মেয়েটি ১৯ বছর হওয়ার আগে বিয়ে অস্বীকার করে বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারে (সহবাস না হয়ে থাকলে)।
- স্বামী আইনের বিধান লংঘন করে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে।
- স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে।
উপরের যে কোন এক বা একাধিক কারণে স্ত্রী আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্ত্রী বিচ্ছেদের পক্ষে রায় পেতে পারে, আদালত বিচ্ছেদের রায় দেবার পর সাত দিনের মধ্যে একটি সত্যায়িত কপি আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাবে।
১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুযায়ী চেয়ারম্যান নোটিশকে তালাক সংক্রান্ত নোটিশ হিসেবে গণ্য করে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নিবে এবং চেয়ারম্যান যেদিন নোটিশ পাবে সে দিন থেকে ঠিক নব্বই দিন পর তালাক চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে।
আইন অনুযায়ী একজন পূর্ণ বয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিস্কের স্বামী যে কোন সময় কোনরূপ কারণ ব্যতিরেকেই তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। কিন্তু তা আইনের বিধান মেনেই করতে হয়। অন্যথায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
স্বামী তালাক দিতে চাইলে তাকে তালাক ঘোষণার পর স্ত্রী সে সময় যে এলাকায় বসবাস করছে সে এলাকার চেয়ারম্যান/মেয়রকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ দিতে হবে এবং তালাক গ্রহীতাকে উক্ত নোটিশের নকল প্রদান করতে হবে।
নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান/মেয়র সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আপোষ বা সমঝোতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সালিশী পরিষদ গঠন করবে এবং উক্ত সালিশী পরিষদ এ জাতীয় সমঝোতার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই অবলম্বন করবে। উল্লেখ্য, নোটিশ পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সালিসের কোনো উদ্যোগ নেওয়া না হলেও তালাক কার্যকর বলে গণ্য হবে। তবে স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে গর্ভকাল শেষ হওয়ার পর তালাক কার্যকর হবে।
(সংগৃহীত)
Related Images:

মন্তব্য করুন