যদি অবিচার করা হয় অন্য কারো সাথে তাহলে বেশিরভাগ মানুষই চুপ থাকে। তবে কেউ চায় না নিজের উপর অবিচার হোক।
একজন লোক অন্য কারো মা, বোন বা স্ত্রীকে ধর্ষণ করলো, তাকে মৃত্যদণ্ড দিলে কেউ কেউ বলবেন “বর্বর আইন”। কিন্তু যদি ধর্ষণ করা হয় তার মাকে তখন তার মনে হবে যে মৃত্যদণ্ডই সবচেয়ে ভালো।
অবিচার যদি হয় আপনার সাথে তখন বুঝবেন সুবিচার কতটা প্রয়োজন।
অন্যায়, অবিচার সহ অন্যান্য মন্দকাজের মহাউৎসব এখন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র। অপরাধমূলক কিছু ঘটতে দেখলেও কেউ বাধা দেওয়ার কিংবা অন্যায়কারীকে শুধরানের চেষ্টা করা হচ্ছে না।
সবার ঘরে ঘরে গিয়ে অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া হয়ত কারো পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু প্রকাশ্যে ও দিবালোকে রাস্তার ধারে কেউ অপরাধ করলে বাধা দেওয়া সবার কর্তব্য ও অবশ্যিক দায়িত্ব। যেকোনো জুলুম, অন্যায়, অবিচার সহ সকল মন্দকাজে নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ অনুযায়ী প্রতিবাদ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজের বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি জাতি হওয়া উচিত যারা সব ভালো কাজের দিকে আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে, প্রকৃতভাবে তারাই সফলকাম সম্প্রদায়। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত:১০৪)
পরিশেষে, মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের জালিমদের অত্যাচার-নিপীড়ন থেকে রক্ষা করেন এবং মজলুমের অভিসম্পাত থেকে বাঁচিয়ে রাখেন।
আমিন।
Related Images:

মন্তব্য করুন