মুসলিম বাবা-মা হিসেবে কখন থেকে বাচ্চাকে ইসলাম সম্পর্কে ধারনা দিবো?
– এজ আর্লি এজ পসিবল।
মনে হতে পারে বাচ্চা বুঝবে না, কিন্তু ব্রেইন ঠিকই ক্যাচ করে নিবে। একটা রাফ গাইডলাইন আছে এখানে বাচ্চার ১৮-৩৬ মাস বয়সী হলেই এই কাজ গুলি শুরু করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।
আকিদাহঃ❤️
- আল্লাহ কোথায় আছেন? তোমার রব কে? কে তোমাকে বানিয়েছেন?
- বাচ্চার সাথে কথা বলুন আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে (আকাশ, গাছ-পালা, ফুল প্রজাপতি কে বানিয়েছেন?)
ডেইলি দুআঃ❤️
- ঘুম থেকে উঠার দু’আ, ঘুমাতে যাওয়ার আগের দু’আ।
- খাওয়ার আগের দু’আ, খাওয়ার পরের দু’আ।
- হাঁচি দিলে কি বলতে বলতে হয়?
- সালামের প্রচার শেখানো, ছোট-বড় সবাইকে সালাম দেয়া।
- বাথরুমে যাওয়ার দু’আ, বের হওয়ার দু’আ।
- বাসা থেকে বের হওয়ার দু’আ।
- সব কাজ করার আগে বিসমিল্লাহ বলা।
- যে কোন কাজ করবো বলার আগে ইনশা আল্লাহ বলা, সুন্দর কিছু দেখলে মাশা আল্লাহ বলা, কোন কিছু গিফট পেলে জাযাকাল্লাহু খায়রান বলা।
কুরআনঃ❤️
- রেগুলার কুরআন বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। বাচ্চা পাশে বসে থাকতে পারে।
- ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী, সূরা ফাতিহা, কূল যুক্ত সূরা বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়েন। খুব দ্রুত দেখবেন বাচ্চা আপনার সাথে পড়ছে।
আখলাকঃ❤️
- খাবার এবং পানি ডান হাতে খাওয়া, বসে খাওয়া এবং বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া।
- যে কোন কাজ করার আগে বাবা-মায়ের পারমিশন নেয়া, ভুল হলে মাফ চাইতে শেখা।
- যত ছোট বয়সই হোক, পোশাক বদলানোর সময় লজ্জ্বার ধারনা দেয়া। অন্যদের সামনে বাচ্চার ডায়াপার চেইঞ্জ করবেন না। তাকে আড়াল রাখুন। লাজুক হতে শিক্ষা দেওয়া…কারন আল্লাহ্ লজ্জাশীলতা পছন্দ করেন।
- শেয়ারিং শেখান। যে কোন কিছু অন্যদের সাথে শেয়ার করলে প্রশংসা করুন।
- ভালো কাজগুলোকে এপ্রিশিয়েট করুন এবং এভাবে ওদের বোঝান যে আল্লাহ এটা পছন্দ করেন, রসূল (সাঃ) এভাবে বলেছেন…আলহাম’দুলিল্লাহ্!
সিরাহ্ঃ❤️
- রসূল (সাঃ) এবং সাহাবীদের গল্প বলুন।
- ছোট হাদীসগুলো গল্পের মতো করে বলুন।
- কুরআনের ঘটনাগুলো নিজের ভাষায় গুছিয়ে বলুন।
ইবাদাহঃ❤️
নামায বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। না দাঁড়ালেও খেলার এরিয়া যাতে আশেপাশে থাকে।
(সূত্র কৃতজ্ঞতাঃ কনফেশন অফ মুসলিম মামাহোলিক ডট কম।)
বাবা-মায়েদের জন্য টিপসঃ
- বাচ্চাদের ধরে-বেঁধে শেখানোর কিছু নেই। নিজেদের লাইফে প্র্যাকটিস করলে, বাচ্চারা দেখেই শিখবে।
- নিজের লাইফে নাই কিন্তু আশা করি, বাচ্চাকে শেখাতে পারবো – এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন।
- আমি যদি চাই বাচ্চা ইসলামিক মাইন্ডের হবে, তাহলে আগে নিজেকেই সেই ছাঁচে গড়ে নিতে হবে।
- মাসনূন দু’আ গুলো বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। বাচ্চারা শুনতে শুনতেই শেখে। আলাদা করে শেখানোর দরকার নেই।
- বাচ্চাকে আগে আল্লাহকে ভালোবাসতে শেখান।❤
যেমনঃ আল্লাহ রাগ করবেন, এটা বলার বদলে আল্লাহ এভাবে এভাবে করলে খুশি হবেন-এরকম বলতে পারেন। তাকে জানান, আল্লাহই সবচাইতে বেশী ভালোবাসে তাকে, এমনকি বাবা-মায়ের চাইতেও! - রসূল (সাঃ) এর সুন্নাহর প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলুন।
যে কোন ব্যাপারে উনাকেই রোল মডেল করুন। - সুস্থতা- অসুস্থতা আল্লাহর কাছ থেকে আসে, ধারনা দিন।
যে কোন ধরনের ব্যাথা পাওয়ায় বা অসুস্থতায় একমাত্রই আল্লাহই তাকে সুস্থ করবে এটা বোঝান। - জান্নাত সম্পর্কে ধারনা দিন।
সেটা কত চমৎকার জায়গা সময়ে সময়ে বর্ননা করুন। যাতে এই জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে বাচ্চার আগ্রহ মাথায় গেঁথে যায়। - ছেলে হলে মসজিদের সাথে এটাচমেন্ট তৈরী করে দিন। সম্ভব হলে বাচ্চাকে জামাতে নামায পড়ার সময় সাথে রাখুন।
- বাচ্চাকে ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
ইন শা আল্লাহ্
রহমানুর রাহিম আমাদের কবুল করুন!!!
Related Images:

মন্তব্য করুন