বিয়ে লাইফের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, এক্ষেত্রে ভুল একটা ডিসিশনের কারণে এপার, ওপার দু’পারেই ভুলের মাশুল গুণতে হতে পারে।
তাই, বাবা-মায়ের চাপে পড়ে কিংবা নিজের সাময়িক ভালোলাগা আর আবেগের বশে নন-প্র্যাকটিসিং কাউকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না। লাইফ আপনার, আপনাকেই সংসার করতে হবে, সাফার করলেও আপনাকেই করতে হবে। তাই একটু বুঝশুনে, ধীরে সুস্থে সিদ্ধান্ত নিন।
যদি কারো ফ্যামিলি মেম্বার্স বা ঘটক কোনো পাত্র/পাত্রীর সন্ধান দেয় এবং বলে ‘অমুক পাত্র/পাত্রী’ খুব দ্বীনদার সেক্ষেত্রে অন্যের কথায় অন্ধবিশ্বাস না করে নিজেই পাত্র/পাত্রীর দ্বীনদারিতা যাচাই করে দেখবেন।
আর, নিজ এক্সপেক্টেশান অনুযায়ী কাউকে খুঁজে পেতে দেরী হলে সবর করবেন, দুয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন এবং হতাশ না হয়ে বরং আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে নিজ সিদ্ধান্তের ওপর অটল থাকবেন। নিশ্চয়ই যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে আল্লাহ্-ই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।
উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের জন্য বেশিবেশি করে নিম্নোক্ত দুয়াটি পড়বেন-
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
– হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষুশীতল করবে এবং আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। [সূরা আল ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াত।]
নিজে প্র্যাকটিসিং হয়ে নন প্র্যাকটিসিং কাউকে বিয়ে করা আর জেনেশুনে আগুনে ঝাঁপ দেয়া একই কথা!
নিজে প্র্যাকটিসিং হলে বিয়ের জন্য অবশ্যই অবশ্যই প্র্যাকটিসিং পাত্র/পাত্রী খুঁজবেন, ফ্যামিলিকেও জানিয়ে দেবেন যে প্র্যাকটিসিং কাউকে ছাড়া বিয়ে করবেন না!
অধিকাংশ প্র্যাকটিসিং পাত্র/পাত্রীর ফ্যামিলি থেকে তাদেরকে বলা হয় যে, ‘বিয়ের পর হাসবেন্ড/ওয়াইফকে দ্বীনদার বানিয়ে নিও’! এই পরামর্শ শুনে তখন অনেকেই ভুল করে বসে, নন প্র্যাকটিসিং কাউকে বিয়ে করে ফেলে আর পরবর্তীতে তাদের পরিণতি খুব একটা ভালো হয় না।
কারোর পরামর্শে নন প্র্যাকটিসিং কাউকে কখনো এই ভেবে বিয়ে করবেন না যে, বিয়ের পর আপনি তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে দ্বীনের পথে নিয়ে আসবেন,তাকে খুব দ্বীনদার বানিয়ে ফেলবেন। যদি এরকম ভেবে থাকেন তবে সেটা হবে খুব বড় রকমের বোকামি! যে মানুষটা বুঝজ্ঞান পাবার পর থেকেই আল্লাহর অবাধ্য, সে বিয়ের পর আপনার কথাতে বদলে যাবে, জাহিল লাইফ থেকে বের হয়ে দ্বীনের পথে চলে আসবে তার গ্যারান্টি কী?!
হ্যা, তবে আল্লাহ্ চাইলে সে আপনার সংস্পর্শে এসে বদলাতে পারে কিন্তু রিস্ক নেয়া কতোটা যৌক্তিক?!
যদি আল্লাহ্ আপনার স্পাউসকে হিদায়াত না দেন তখন কী হবে?! তখন তো চলতে ফিরতে দুজনের মধ্যে প্রতিদিন মতানৈক্য দেখা দেবে, ভুল বোঝাবুঝি হবে, ঝগড়া হবে!
কাউকে বদলাবার ক্ষমতা আমার বা আপনার নেই! অন্তর পরিবর্তনের মালিক একমাত্র আল্লাহ্! আল্লাহ্ না চাইলে হাজার চেষ্টা করেও আপনি আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে, দাওয়াহ দিয়ে দ্বীনের পথে আনতে পারবেন না!
Related Images:

মন্তব্য করুন