বাংলাদেশে ওষুধের অনৈতিক বাজারজাতকরণ পদ্ধতি ও এর অশুভ ফলাফলের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে পলিসি ডায়লগ হওয়া প্রয়োজন। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির promotional influence এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রোগীরা প্রেসক্রিপশনের নির্দেশনা অনুযায়ী একাধিক প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় বা সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যুক্ত ওষুধ সেবন করে যা medication misuse বা irrational drug use-এর কারণ হিসেবে স্পষ্টত পরিলক্ষিত হয়। এদেশে ওষুধ বাজারজাতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের দিকগুলো বিবেচনার সময় রোগীর স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে নিয়ে সর্বাঙ্গীন ভাবা বা আলোচনা হয়না। ওষুধের অনৈতিক বাজারজাতকরণের সকল প্রকারের নেতিবাচক দিকগুলো বা পথগুলো চিহ্ণিতকরণ করে তা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
সকল হাসপাতাল ও কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের সুষ্ঠু নির্বাচন ও ব্যবহার সুনিশ্চিত করার জন্য Pharmacy and Therapeutics Committee গঠন করা বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন। এই কমিটির কাজ হবে ওষুধের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের হাসপাতালে একটি Hospital Formulary ও Hospital Formulary System চালু করা। ইহা ওষুধের সুষ্ঠু ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। ইহা সুপ্রতিষ্ঠিত হলে ওষুধের irrational use বন্ধ হবে বা বন্ধ করা যাবে। ফলে এ দেশের বিপুল অংকের টাকার অপচয় রোধ করা যাবে ও রোগীর সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা যাবে। রোগী ও সরকারের অর্থ ব্যবহারের অপচয় রোধ হলে অবশ্যই আমরা সবাই উপকৃত হব। এ সম্পর্কে সকলের আগ্রহ সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সঠিক ও কার্যকর Drug Utilization and Marketing Policy করা গেলে এবং Graduate Pharmacists-দের হাসপাতালে positioning করলে এদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ব্যাপক পজেটিভ ফলাফল পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ।
প্রফেসর শেখ ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ, জা.বি
Related Images:
