সন্তান-সন্ততি, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, বিরহ, ভালোবাসা ইত্যাদি নিয়েই সংসার।
অবশ্যই পুরুষ কিংবা নারী উভয়কে সংসার করতে এসে স্যাক্রিফাইস করতে হয়। শুধু নিজের সাক্রিফাইসিকে বড় করে দেখা চরম স্বার্থপরতা। “কি দিলাম আর কি পেলাম” এই হিসাব কষে সংসারে সুখী হওয়া যায় না।
এখন প্রশ্ন, “সংসারী তো অনেকেই হয়। কিন্তু সুখী হয় কয়জনে? যারা সুখী হয় না, তারা কেন সুখী হয় না?”
সংসারী জুটির মধ্যে কঠিন এবং জটিল বিষয় হল – দুজনই সমমনা কিনা। দুইজনের বিশ্বাস, নীতি-আদর্শ, পছন্দ-অপছন্দ, রুচি-অরুচি একই কিনা। সব কিছু গল্প-উপন্যাস, নাটক-সিনেমার মত মিলানো সম্ভব না। তবে বিশ্বাস, আদর্শের মৌলিক বিষয়গুলোতে মিল থাকা জরুরি।
স্বামী স্ত্রী দুজনেই বা একজন চরিত্রহীন। স্বামী নিজের স্ত্রীতে সন্তুষ্ট নয় পক্ষান্তরে স্ত্রী স্বীয় স্বামী নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। দুজনেই পরস্ত্রী বা পরস্বামীতে আসক্ত। এই ধরনের সংসারে শান্তির বসবাস সম্ভব নয়।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বা একজন ঝগড়াটে। সামান্য অজুহাতে চড়াও হয়, ক্ষেপে যায়। একে ওপরের প্রতি নেই সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ। একজন আরেকজনের সুখে সুখী, দুঃখে দুঃখী হওয়ার মত গুণ নেই। নেই পরস্পরের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা। সুখ সেই সংসার থেকে অনেক দূরে। এই ধরনের সংসারে কোনো দিন সুখ হয় না। শান্তি থাকে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘বিবাহিত জীবনে স্বামী স্ত্রীর প্রেম ভালোবাসা অবিবাহিত জীবনের ভালোবাসার চেয়ে ও অনেক দামী এবং খাঁটি।”
পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন ভালো চরিত্র সম্পন্ন এবং আদর্শময় সৎ জীবন-যাপন করেন তখন তাদের সংসার হবে আদর্শ সংসার। তাদের জীবনে আসে সুখ আর সুখ। তাদের পরিবারে আসবে সদাচারী সন্তান। তাদের বুক গর্বে ভরিয়ে দেবে।