বিয়ের পর দ্বীনদার বানিয়ে নিব, নিশ্চয়তা কতটুকু!
- যে ছেলেটা ২৫ বছর ধরে আল্লাহর অবাধ্যতা করে আসছে, আল্লাহর কাছে সিজদাবনত হয়নি দিনে পাঁচ বেলা, রেগুলার (ফরজ) রোজা রাখেনি, তাকে বিয়ের পর আপনি আল্লাহর একান্ত বাধ্যগত বান্দা বানিয়ে ফেলবেন, নামাজে পাবন্দি করা ফেলবেন, রোজাদার বানিয়ে ফেলবেন- এমন ভাবা নিতান্তই আপনার ভুল! আবেগ।
- যে মেয়ে ২২ বছর ধরে পর্দা করেনি, অসংখ্য ছেলে বন্ধুদের সাথে মেশামেশি করে বড় হয়েছে, মাহরাম নন-মাহরামে যাচাই বাছাই-এর কোন তোয়াক্কা করেনি, যার চরিত্রে দ্বীনদারিতা নেই তাকে বিয়ের পর সাচ্চা পর্দানশীল বানিয়ে ফেলবেন, তার ছেলে বন্ধুদের থেকে দূরে রাখবেন বা দ্বীনদার বানিয়ে ফেলবেন এমন ভাবাও আপনার নিছক কল্পনা। এটাও আবেগ।
বিয়ের পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি দ্বীনদারিতা এবং চরিত্রে ছাড় দেন তাহলে অনেক কিছু হারিয়ে যায়! যাকে নির্বাচন করছেন সে আপনার সন্তানের ভবিষ্যতে বাবা কিংবা মা। এটা মনে রাখা ভীষণ দরকার।
বিয়ের আগেই দেখে শুনে, ভেবে বিয়ে করুন। বিয়েটা শুধু সারা জীবনের নয়, মরনের পরেরও। আপনার জান্নাত-জাহান্নাম এর অনেক ব্যাপার এটার সাথে জড়িত।
“আগে বিয়ে তো করি, বিয়ের পর নিজের মত বানিয়ে নেব”- এটা ভুল ধারণা।
অনেকে বলবেন, “বিয়ের পর যদি দুয়া করি আল্লাহ তো হেদায়াত দিতেও পারেন।”
জ্বী, আল্লাহ তা’আলাই হেদায়াতের মালিক; তিনি হেদায়াত দিলে, অন্তর পরিবর্তন করে দিলে তো আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনির তাকদীরে আল্লাহ তায়ালা হেদায়াত না লিখে রাখেন? তাহলে তো আপনার ইহকাল-পরকাল দুটোই গেল!
বিয়ে করা হচ্ছে দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করা। যাকে বিয়ে করলে দ্বীনের অর্ধেক পূরণ হবে না, বরং নিজের যেটুকু দ্বীন ছিল সেটুকুও হুমকির মুখে পড়তে পারে, এমন ঝুঁকি কেনইবা নিতে হবে?
আমরা বাস্তববাদী হই। একজন শায়েখের একটা কথা দিয়ে শেষ করি যেটা আমার খুবই ভালো লেগেছে।
উনি বলেছেন, “জগতে কোন সম্পর্ক নির্বাচন করে নেয়ার কোন সুযোগ আমাদেরকে দেয়া হয়নি, একমাত্র স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত। তাই এটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন।”
আল্লাহ আমাদের সকলকে বোঝার তাওফিক দান করুন।
Related Images:
