জেকে লাইফ স্টাইল কর্ম পদ্ধতি ৪ টি স্টেপ।
- ফ্যাট এডাপটেশন
- ওয়াটার ফাস্টিং
- ড্রাই ফাস্টিং
- অটোফেজি
1. ফ্যাট এডাপটেশন
আমরা মূলত তিন ধরণের খাবার খাই যেমন -শর্করা, প্রোটিন ও ফ্যাট। আমরা যদি শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট খাই তাহলে তা রক্তে আসে চিনি হিসেবে। আর প্রোটিন রক্তে আসে অ্যামাইনো এসিড হিসেবে।
প্রথমত, চিনি আমাদের রক্তে থেকে আসে কোষের ভিতরের ইনসুলিনের সাহায্যে। এটা সরাসরিও কোষের ভিতর আসতে পারে, গুড ফুড আর হেভি এক্সারসাইজ-এর মাধ্যমে। এক্সারসাইজ করলে ইনসুলিনের সাহায্য ছাড়া এটা সরাসরি কোষে আসবে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত,আমিইনো এসিড যেটা প্রোটিন থেকে আসে যা আমাদের শরীরের মাংশপেশিগুলো গঠন করতে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত,ফ্যাট যা ছাড়া আমাদের চলেই না আমাদের ব্রেন, হরমোনগুলো, নার্ভসীট যেগুলো সবই ফ্যাটের তৈরি সুতরাং যারা বলেন ফ্যাট খাবনা তারা কিন্তু বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।
তাহলে আমরা যে খাবারগুলো শর্করা বা চিনি হিসেবে খাচ্ছি সেগুলো প্রথমে শরীরে শক্তি উৎপন্ন করছে পরে যেটা বেঁচে যাচ্ছে সেটা গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা হচ্ছে যা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমা থাকতে পারে এর পর বাঁকিটা সেটা চর্বি হিসেবে জমা হয়।
তাহলে আপনি খেলেন ভাত, রুটি, আলু হয়ে গেল চর্বি। এরপর প্রোটিন আপনি যদি বেশি পরিমাণ খান তাহলে যেটুকু প্রয়োজন তা কাজে লাগবে আর বাঁকিটুকু চিনিতে রূপান্তরিত হয়ে চর্বি হিসেবে জমা হবে। আর আপনি সঙ্গে যে চর্বি খাচ্ছেন সেই চর্বি যতটুকু প্রয়োজন তা কাজে লাগবে আর বাঁকিটা চর্বি হিসেবে জমা হবে। তাহলে অবশেষে এই প্রোটিনও কিন্তু গ্লুকোজ হচ্ছে আবার অতিরিক্ত গ্লুকোজ আবার চর্বি হিসেবে জমা হচ্ছে, চর্বি থেকে চর্বি আসতেছে। কারণ হলো রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নির্দিষ্ট পরিমানে জমা থাকতে পারে এবং গ্লাইকোজেনের একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে বাঁকিটা চর্বি হিসেবে জমা হয়।
খাওয়ার ভেতর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। একদম ৫%হতে হবে। কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে শাকসবজি ও সালাদ ছাড়া বেশি কিছু খেতে পারব না। কোন ফল, আইসক্রীম, চুইনগাম খেতে পারব না ভাত, রুটি, আলু মাটির নিচের সবজি খেতে পারব না। প্রোটিনের পরিমাণহবে ২০%বাঁকিটা স্বাস্থ্যকর চর্বি হতে হবে। বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে। যার ফলে কার্বোহাইড্রেট বা সুগার বার্ন হয়ে যাবে এবং গ্লাইকোজেনকে ব্রেকডাউন করে বার্ন করবে। এই গ্লাইকোজেন শেষ হয়ে গেলে চর্বি বার্ন করা শুরু হবে এই চর্বি বার্ন করাকে ফ্যাট এডাপটেসন বলে।
সুতরাং খুব সুন্দরভাবে বলা চলে আমাদের বডি তিন ধরনের খাবার দিয়ে চলে বা চলতে পারে পারে। শর্করা, প্রোটিন, এবং ফ্যাট। আমরা যখন শর্করা মেটাবলিজম করে চলি তখন বডিতে ইনসুলিন রিলিজ হয়। আর ইনসুলিন এর উপস্থিতিতে ফ্যাট বার্ন হয় না। আমরা বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেলেও ইনসুলিন তৈরি হয়। যার ফলে ফ্যাট বার্ন হয় না। কিন্তু ফ্যাট খেলে ইনসুলিন তৈরি হয় না। আমরা যখন বডির ফ্যাট বার্ন করতে চাই তখন ইনসুলিন একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। তাই শর্করা এবং প্রোটিন পরিমিত আকারে খেতে হবে।
ইনসুলিন হচ্ছে এনাবলিক হরমোন। বডিতে ইনসুলিন থাকলে ব্রেন বডিতে জমে থাকা ফ্যাট চিনতে পারেনা। তাই ইনসুলিন কমিয়ে কিছুদিন ফ্যাট জাতীয় খাবার খেয়ে বডিকে ফ্যাট মেটাবলিজমে নিয়ে আসতে হয়। তখন ব্রেন বডিতে জমে থাকা চর্বি দেখতে পায়। এই প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে ফ্যাট এডাপটেশন।
কিছুদিন ফ্যাট জাতীয় খাবার খেয়ে বডিকে ফ্যাট দিয়ে চলতে শিখাতে হয়। তারপর ব্রেন যখন বুঝতে পারে বডিতে প্রচুর চর্বি জমা আছে তখন ব্রেন বাইরে থেকে খাবার গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয় না। তখন আপনার ক্ষুধা একেবারেই কমে যায়। আপনার যখন ক্ষুধা কমে যাবে তখন আপনি বুঝবেন আপনার ফ্যাট এডাপটেশন হয়ে গেছে।
কেউ যদি এক্সারসাইজ করে একটিভ থাকে তাহলে তা দ্রুত শুরু হয়। এটা একবার হয়ে গেলে নিজেকে এলিয়েন মনে হবে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে খাবারের ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। ফ্যাট এডাপটেশন হতে ৭ দিন লাগে।
? ফ্যাট এডাপটেশনের প্রথম ৭ দিনের খাবারের তালিকা কিছু পরামর্শ:
- রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমাবেন।
- সকালে খালিপেটে এক ঘন্টা হাটবেন।
- শরীরে রোদ লাগাবেন।
- বিকেলে খালিপেটে এক্সারসাইজ করবেন।
- সারাদিনে ২.৫- ৩ লিটার পানি খাবেন।
- কচি ডাবের পানি খাবেন।
? প্রথম তিনদিনের খাবারের তালিকা:
সকালে হেটে আসার পর , ৯ টায়
* অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক চামচ পানিতে মিশিয়ে খাবেন।
* ডিম ২ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* বাদাম ৪০ গ্রাম ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* গ্রীন টি খাবেন।
দুপুর ২ টায়
* অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক চামচ পানিতে মিশিয়ে খাবেন
* তৈলাক্ত মাছ/চর্বি সহ মাংস/গরুর কলিজা ১০০ গ্রাম খাবেন।
* ডিম ১ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন।
* সালাদ খাবেন।
বিকেলে এক্সারসাইজ করার পরে:
বাদাম ৩০ গ্রাম ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* সালাদ।
* বুলেট কফি খেতে পারেন।
রাতে ৮ টার মধ্যে:
* অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক পানিতে মিশিয়ে খাবেন।
* তৈলাক্ত মাছ/চর্বি সহ মাংস/গরুর কলিজা ৫০ গ্রাম খাবেন।
* ডিম ১ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন।
* সালাদ খাবেন।
❣️তিন দিন এভাবে ১ ঘন্টা করে দুপুরের খাবার এর টাইম পেছাবেন। ধরেন ২য় দিন সকালের খাবার খাবেন ৯টায়, দুপুরের খাবার খাবেন ৩ টায়। রাতের খাবার ৮টায় খাকবে। ❤️
? শেষ চারদিনের খাবার তালিকা:
দুপুর ৪ টাই খাবেন:
* অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খাবেন।
* বাদাম ৪০ গ্রাম ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* ডিম ২ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* তৈলাক্ত মাছ/চর্বি সহ মাংস/গরুর কলিজা ১০০ গ্রাম খাবেন।
* প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন।
* সালাদ খাবেন।
রাতে ৮ টার মধ্যে খাবেন:
* অ্যাপল সিডার ভিনেগার এক চামচ + আদার রস + লেবু রস এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাবেন।
* বাদাম ৩০ গ্রাম ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* ডিম ২ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* তৈলাক্ত মাছ/চর্বি সহ মাংস/গরুর কলিজা ৫০ গ্রাম খাবেন ।
* প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন।
* সালাদ খাবেন।
❤️এভাবে খেতে থাকুন। ক্ষুধা কমে গেলে ড্রাই ফাস্টিং (সিয়াম) ও ওয়াটার ফাস্টিং শুরু করবেন। ❣️
?নোট: সোয়াবিন তেল রান্নায় খেতে পারবেন না।
অবশ্যই সরিষার তেল বা অলিভ ওয়েল তেল ব্যবহার করবেন।
2. ওয়াটার ফাস্টিং কি এবং কিভাবে করবোঃ
একদিনকে ১৮+৬ ঘন্টায় বা আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনি ২০+৪ অথবা ১৬+৮ ঘন্টায় ভাগ করে নিতে পারেন।
★ ১৮ ঘন্টা পানি জাতীয় পানীয় গুলি পান করবেন। যাতে ক্যালরির পরিমাণ জিরো।
পানীয় জাতীয় খাবার:
- অ্যাপল সিডার ভিনিগার
- লবণ মিশ্রিত পানি
- আদার রস, লেবুর রস মিশ্রিত পানি
- গ্রিন টি, ব্লাক টি, ব্লাক কফি
★ বাকী ৬ ঘন্টা ডক্টর জাহাঙ্গীর কবির স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী খাবার গুলো খাবেন।
★ সকালে আধা ঘণ্টা ব্যায়াম ও আধা ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি এবং বিকেলে আধা ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করবেন।
৩ দিনের ওয়াটার ফাস্টিং সমান সমান ১ দিনের ফাস্টিং। সপ্তাহে ৫ দিন ওয়াটার ফাস্টিং এবং ২ দিন ফাস্টিং (সিয়াম) করতে পারেন। শারিরীক দুর্বলতা দূর করার জন্য ফাস্টিং আওয়ারের বাহিরে বুলেট কফি ও মাথা ঘুরানো দূর করার জন্য ১ টি কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ইসুপগুল ও চিয়া সিড খাবেন।
3. ড্রাই ফাস্টিং
ওয়াটার ফাস্টিং এর চাইতে ড্রাই ফাস্টিং তিনগুণ বেশি ভালো। কারণ ওয়াটার ফাস্টিং করার সময় আমরা পানিটা বাইরে থেকে খাচ্ছি। আর ড্রাই ফাস্টিং করার সময় কি হচ্ছে, পানিটা যেহেতু বডির ভেতর যাচ্ছেনা, এইজন্য ফ্যাট বার্ন করার সময় বডি তার ভিতরে পানি তৈরি করছে। এবং সেই পানিটা বডি তৈরি করছে সেটা 100% বিশুদ্ধ পানি। এবং সেটা দিয়েই অটোফেজির মাধ্যমে আমাদের বডি পরিষ্কার হচ্ছে। আর অটোফেজি হল সর্ব রোগের মহৌষধ।
ড্রাই ফাস্টিং মানে হলো রোজা রাখা। আপনার ফ্যাট অ্যাডাপটেশন করার পর যখন ক্ষুদা লাগবেনা তখন আপনি রোজা রাখা শুরু করবেন। পাশাপাশি জেকে লাইফ স্টাইলএর বাকি স্তম্ভগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ফাস্টিং চলাকালীন যদি আপনার রাতের ঘুম ঠিক না থাকে তাহলে ওজন বেড়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই রাতের ঘুম ঠিক রাখবেন। সকালে 30 মিনিট হাঁটবেন। সারা দিনের যেকোনো সময় 30 মিনিট বডিতে রোদ লাগাবেন। ইফতারের ইমিডিয়েট আগে কিছুক্ষণ এক্সারসাইজ করবেন। মানসিক প্রশান্তি চর্চা করবেন।
কিভাবে ড্রাই ফাস্টিং বা রোজা রাখবেন:
আমরা যারা মুসলমান, আমরা যেভাবে রোজা রাখি সেভাবেই রোজা রাখব। অন্যান্য ধর্মের ভাই-বোনেরা আপনারা আপনাদের ধর্ম অনুসারে রোজা অথবা উপবাস অথবা ফাস্টিং করবেন।
? সাহরীতে
* পানি/পিংক সল্ট মিশানো পানি/ডাবের পানি খাবেন।
* যারা শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখতে পারবেননা তারা দুটো ডিম ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
? ইফতারে
* আপেল সিডার ভিনেগার + আদা রস + লেবু রস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।
* অল্প পরিমাণ বাদাম ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন । বেশি বেনিফিট চাইলে কাঁচা বাদামের সাথে ঘি অথবা মাখন মাখিয়ে খাবেন।
* ডিম ২ টা ঘি দিয়ে ভেজে খাবেন।
* মাছ/ মাংস চর্বি সহ / কলিজা পরিমিত মাত্রায় খাবেন।
* প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন। এবং সেটা অবশ্যই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল দিয়ে মাখিয়ে নিবেন।
* পরিমিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। পিংক সল্ট মিশিয়ে পানি খাবেন।
* অবশ্যই প্রতিদিন একটা কচি ডাবের পানি খাবেন।
4. অটোফেজি
অটোফেজি কী? কেনই বা অটোফেজি আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য?
মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘সিয়াম’ … খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘ফাস্টিং’ … হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘উপবাস’ … বিপ্লবীরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘অনশন’ ? আর, মডার্ন মেডিক্যাল সাইন্সে রোজা রাখাকে বলা হয় ‘অটোফেজি’।
অটো অর্থ নিজে নিজে আর ফেজি মানে ভক্ষণ। তাহলে অটোফেজির অর্থ দাঁড়াচ্ছে ‘নিজে নিজেকে খাওয়া’। শুনতে সাংঘাতিক মনে হলেও এটা আসলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
যখন আপনি দীর্ঘক্ষন খাওয়া বন্ধ করে দেন তখন দেহের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনও খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের রোগজীবাণু সৃষ্টিকারী কোষ ও বর্জ্য-আবর্জনা খেতে শুরু করে, আর এই প্রক্রিয়াকেই অটোফেজি বলা হয়। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই প্রক্রিয়া অব্যাবহারযোগ্য কোষগুলোকে পুনরায় নতুন কোষে রুপান্তর করে যেটা সত্যি বিস্ময়কর।
মানুষের বাড়িতে যেমন ডাস্টবিন থাকে বা কম্পিউটারে রিসাইকেলবিন থাকে, তেমনই মানবদেহের প্রতিটি কোষেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। ডাস্টবিনটির নাম লাইসোজোম। সারাবছর দেহের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকার কারণে লাইসোজোম নামক ডাস্টবিনটি পরিষ্কার করবার সময় হয়ে ওঠে না। ফলে কোষগুলোতে অনেক আবর্জনা জমা হয়। কোষগুলো যদি নিয়মিতভাবে ওদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে সেগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং এর ফলে অসুস্থ কোষ ও আবর্জনার প্রভাবে দেহে নানাবিধ রোগ বাসা বাঁধে। বিশেষজ্ঞদের মতে টিউমার, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো বড় বড় রোগের শুরু হয় এভাবেই।
তাই সুস্থ সবল ভাবে তারুণ্য নিয়ে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে অটোফেজির তুলনা নেই। আর এই অটোফেজির প্রক্রিয়াটি শুরু করানোর জন্য, দীর্ঘ সময় ওয়াটার ফাস্টিং বা শুধু সেহরীতে পানি খেয়ে রোজা রাখা বা অন্যান্য ধর্মালম্বিদের জন্য অনশন বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কোন বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে শরীর নিজেই তার সকল রোগের চিকিৎসা নিজেই করে শুধু আমাদের প্রয়োজন শরীরকে একটু সেই সুযোগ তৈরী করে দেয়ে দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থেকে ।
অটোফেজির মাধ্যমে আরও যেসব বেনিফিট পাবেন:
* ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে।
* ব্লাড প্রেসার ভালো হয়ে যাবে।
* লিভার পরিষ্কার হবে।
* ইনসুলিন সেন্সিভিটি বেড়ে যাবে।
* হজম প্রক্রিয়া রিভার্স হবে।
* ব্রেন ফাংশন উন্নত হবে।
* শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী হবেন। প্রাথমিকভাবে মনে হবে দুর্বল হচ্ছেন। কিন্তু যখন ফ্যাট বার্ন শুরু হবে তখন শক্তিশালী অনুভব করবেন।
* বডির অপ্রয়োজনীয় প্রোটিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
* বডির বাজে কোষগুলো রিসাইকেল হবে।
* অটোফেজির মাধ্যমে স্কিন আরো ভালো হবে।
* চুলের গ্রোথ ভালো হবে।
* তাছাড়া আরও নানাবিধ উপকার পাবেন।
Source:
Dr. Jahangir Kabir’s Healthy Lifestyle
Related Images:
