সিংগাপুরের একজন মিলিয়নিয়ার একটি বইতে লিখেছেন, ‘আমাকে প্রায়ই বিদেশ যেতে হয় এবং আমি ফ্লাই করি ইকোনমি ক্লাশে। একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, এত ধনী হওয়ার পরও আপনি কেন ইকোনমি ক্লাশে ভ্রমন করেন? আমি উত্তর দেই, এ জন্যই তো আমি সিংগাপুরের সেরা ধনী।’
বিলাসিতার আসলে শেষ নেই। কোনো বিলাসিতাই আপনার তৃপ্তি শেষ করতে পারবে না।
যেমন, একটি ‘গুচি’ ব্যাগ কিনলেন, কেনা অব্দি আপনার আনন্দ। এরপর কিন্তু আপনার আরেকটি দামি ব্যাগ পছন্দ হবে, আপনি তাও কিনবেন, তারপর আরেকটা– এটা আসলে নেভার এন্ডিং প্রসেস।
- আমরা মধ্যবিত্তরা যখন একটু বিত্তের মুখ দেখি, তখন সেটা দিয়ে জীবনের অনেক অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণ করে ফেলতে চাই। আমার মধ্যেও এ সমস্যা আছ। আমাদের অনেকের মধ্যেও আছে।
- আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হই। তারপর কষ্ট করে মোটামুটি দাঁড়াই। তখন মনে হয়, জীবন তো একটাই; অতএব, মধ্যবিত্তের সীমাবদ্ধতায় যা কিনতে পারিনি, সেগুলো এবার কেনা যাক। এটা শুধু আমার নয়, অনেকের সমস্যা।
কোনো ‘কেনাই’ আসলে কারো চূড়ান্ত তৃপ্তি আনতে পারবে না। ‘গুচি’ জুতোর পর আমাদের ‘আরমানি’ কিনতে ইচ্ছে করবে। আরমানির পর ‘বারবারি’। আই ফোন ১২ কিনলে পরের বছর আই ফোন ১৩ কিনতে চাইব।
এভাবেই আসলে ধ্বংস হয় নিজের আর্থিক সংগতি। ধ্বংস হয় আত্মার শুদ্ধতা। এগুলো কেনার টাকা জোগাড় করার জন্য অশুদ্ধ দৌড় শুরু হয়, যার কোন ফিনিশিং পয়েন্ট নেই।
“বিলাসিতা” নেভার এন্ডিং প্রসেস…আমাদের ভাবা উচিত, কীভাবে খরচ করলে শুধু আমি না, আমরা সবাই উপকৃত হবো।