বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ জার্মানি। একবার সহকর্মীকে নিয়ে হামবুর্গে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম আমি।
যেহেতু আমরা খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম, সেজন্য বেশ অনেকটা খাবার অর্ডার করেছিলেন আমার সহকর্মী কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্ডার করা খাবারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খাবার ছুঁয়েই দেখা হলো না আমাদের”।
এরপর আমি ও আমার সহকর্মী যখন রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, সেই সময় একজন বয়স্ক মহিলা বিরক্ত হয়ে বললেন, “তোমাদের খাবার নষ্ট করা উচিত হয়নি”।
আমার সহকর্মী ওই মহিলাকে উত্তর দিলো, “আমরা টাকা দিয়ে খাবার কিনেছি। খাবার খাবো না ফেলে দেবো এটাতে তোমার মাথা ঘামানোর কী আছে”?
এই উত্তর শুনে বেশ ক্ষেপে গেলেন ওই মহিলা।
সঙ্গে থাকা আরেকজন, তৎক্ষণাৎ ফোন বের করে কাকে যেনো ফোন করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার পোশাক পরা এক ব্যক্তি এসে হাজির হলেন।
ওই ব্যক্তি সবকিছু শুনে আমাকে এবং সহকর্মীকে ৫০ ইউরো জরিমানা করে বসলেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যাই আমি।
তারপর সেই কর্মকর্তা রাগান্বিত সুরে বললেন- “তুমি যা খেতে পারবে, শুধুমাত্র তাই অর্ডার করো। টাকা তোমার ঠিকই, কিন্তু সম্পদ সমাজের। এই পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যারা খাবারের অভাবে ভুগছে। সম্পদ নষ্ট করার কোনো অধিকার তোমার নেই।”
– রতন টাটা
চেয়ারম্যান টাটা ট্রাস্ট
Related Images:
