0 খালা কয় বাসায় কাজ করেন?
– ৩ বাসায় রান্দি মামা।
0 আপনার স্বামী নাই ?
– ছিল এডা, ৫ বছর আগে তারে ডিভোর্স দিছি।
0 কেন ডিভোর্স দিলেন? মারতো খুব?
– না সে খুব ভালা পাইতো, খারাপ ছিল শাশুড়ীডা। ঐ মহিলা সারাদিন আমারে দিয়া কাজ করাইতো।
0 এখন সারাদিন কি করেন খালা? ???
– অহন তো কাজের জন্য টাকা পাই।
0 টাকা দিয়া কি করেন খালা?
– ঘর ভাড়া দেই, কাপর, খাওন কিনি।
0 আহারে, শাশুড়ি এগুলা দিতনা তাইনা? মাগনা খাটাইত?
– না, এগুলা দিত।
0 তাহলে সমস্যা কি ছিল?
– মন মত হইতোনা সেগুলা।।
0 কম দামী দিত?
– না, এখনই কম দামী কিনি।
0 তাহলে?
– একটু স্বাধীনতা লাগে না।
0 এখন স্বাধীন আছেন?
– ………… নিরবতা………
0 আগে একজন মা বকতো, এখন ১০ জন পরমানুষ বকে। কোনটা ভালো?
– একটা গান আছে না ভাই; পর মানুষে দুঃখ দিলে দুঃখ মনে হয় না, আপন মানুষ কষ্ট দিলে মেনে নেয়া যায় না।।
0 যাক স্বীকার করলেন যে সে আপন ছিল। অনেক মন্দের সাথে অনেক ভালোও তো ছিলো। আপনে তারে আপন হিসেবে কি ভালো করছেন?
– ……… নিরবতা………
0 গাঞ্জাখোর গীতিকার আর কবিদের কথাকে জীবনের আদর্শ বানায়েন না খালা। যৌবন শুধু পুরুষের না, নারীর জন্যও কষ্ট করার সময়। এখন কষ্ট করলে বুড়া বয়সে আরামে থাকতে পারবেন। আর এখন স্বাধীনতার মজা নিলে বুড়া বয়সে হাতের লাঠি থাকবেনা। অপমানের আশ্রিতা জীবন পাবেন, নয়তো পাগল সাধুর সাথে গাঁজা খেয়ে ঘুরে বেড়াবেন, নইলে ভিক্ষা জুটবে।
খালা এখন নিজের পায়ে দাড়িয়েছে। কাজের বিনিময়ে টাকা পাচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে কাজ করছেন । স্বামীর সংসারে থাকলে কি এই টাকা আসত? কি মনে করেন আপনারা? ?
মনে রাখবেন, সব রসুনের কেন্দ্র কিন্তু একই স্থানে!!!
Related Images:
