হালাল-হারামের এমন জঘন্য মিশ্রণ এ উম্মত আগে কখনো দেখেছে কি না জানা নেই।
- এখন সুদি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে মুসলমানরা খুশিতে সদকা করছে।
- সিনেমা হিট হলে আলহামদুলিল্লাহ বলে কৃতজ্ঞতা আদায় করছে।
- গান রিলিজের আগে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলে সাফল্য প্রত্যাশা করছে।
- খেলায় জিতে সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া জানান দিচ্ছে।
সাধারণ মুসলমানরা এসবে আবার সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। এটাকে সংশ্লিষ্ট শিল্পী কিংবা খেলোয়াড়ের ধার্মিকতা হিসেবে প্রচার করছে। অমুসলিম টিমের ওপর মুসলিম টিমের বিজয়কে পৃথিবীতে ইসলামের বিজয় হিসেবে দেখছে।
লা হাওয়া ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!
সুস্পষ্ট হারাম বিষয়গুলোত – গান-বাজনা, অশ্লীলতা ও খেলাধুলার মতো অথর্ব, বস্তুবাদী, প্রবৃত্তিনির্ভর কাজগুলোতে ইসলামের ইবাদত সংশ্লিষ্ট শব্দ ও আধ্যাত্মিক পরিভাষাগুলো নির্বিচারে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে একদিকে মুসলমানরা ধার্মিকতার মোড়কে হারাম বিষয়গুলোতে জড়িয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সুস্পষ্ট হারাম বিষয়গুলো ধোঁয়াশাপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
ফলে নিকট ভবিষ্যতে এমন একটি মুসলিম প্রজন্ম তৈরি হবে, যাদেরকে এসব খেলাধুলা কিংবা গান-সিনেমা হারাম বলা হলে বিস্ময়ে বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকাবে। এগুলো যে হারাম সেই অনুভূতিই নষ্ট হয়ে যাবে। তর্কে জড়াবে। যারা এগুলোকে হারাম বলবে তারা চরমপন্থী, পশ্চাৎপদ, নিরস কাটখোট্টা ইসলামিস্ট বলে বিবেচিত হবে। সম্ভবত এক সময় ইসলামী সিনেমা, ইসলামী সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ইসলামী কনসার্ট, ইসলামী বিশ্বকাপের আয়োজনও শুরু হবে।
আহ মুসলমান! এই দীন তো মুহাম্মাদী দীন নয়। এটা আল্লাহর দীন হলে নবীজী উহুদের ময়দানে আসতেন না। ওকাজের মেলাতেই থেকে যেতেন।
-Mizan Harun